দেশজুড়ে

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে মহাসড়কের অবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে টঙ্গী ব্রিজ হতে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত কোনো যানজট ছিল না। দুপুরের পর গাজীপুরের সব কল-কারখানার ছুটি হওয়ায় যাত্রীদের ঢল নামে মহাসড়কে। যানবাহনের তীব্র চাপে সড়কের কোথাও কোনো ফাঁকা জায়গা নেই বললেই চলে। গন্তব্যে পৌঁছার জন্য যে যেভাবে পারছেন বিকল্প যানবাহনে গন্তব্যের পথে ছুটছেন। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের লোকজন ট্রাক, পিকআপ ও লেগুনা দিয়েও গন্তব্যের পথে রওনা হয়েছেন। আর এ সুযোগে পরিবহনগুলোও যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, যে করেই হোক গন্তব্যে যেতে হবে- তাই যাত্রীরাও বেশি ভাড়ায় তেমন আপত্তি করছেন না।

সোমবার রাত ৮টার পর্যন্ত টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে মানুষ আর মানুষ। গন্তব্যের উদ্দেশে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে হাজার হাজার যাত্রী। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় সড়কে গণপরিবহন কম। ঈদযাত্রায় নারী ও শিশুদের ভোগান্তি হচ্ছে বেশি।

রাত ৮টা পর্যন্ত জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গীর গাজীপুরা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে তীব্র যানজট দেখা গেছে। সড়কের দুই পাশে আইনশৃঙ্খলা বহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য, কমিউনিটি পুলিশ, সিটি কর্পোরেশনের লোকজন অবস্থান নিয়েছে। তারা সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন। এরপরও অতিরিক্ত গণপরিবহন ও যাত্রীদের চাপে সড়কের সব শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তাদের কোনো ব্যবস্থাই কাজে আসছে না।

Advertisement

গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান আহমাদ সরকার জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যাত্রী ও গণপরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার সারারাত এ চাপ অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টি হলে ভোগান্তি বাড়বে। মহানগর পুলিশ, পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত তিন শতাধিক কমিউিনিটি পুলিশ এবং সিটি কর্পোরেশনের শতাধিক কর্মী যানজট নিরসনে কাজ করছে। রাস্তায় ধারণ ক্ষমতার চাইতে যানবাহনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে সড়কে এক লেনে যানবাহন চলবে আর এতে যানবাহনের সারিও দীর্ঘ হবে।

গাজীপুর চৌরাস্তার স্থানীয় ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, সড়কে হাজার হাজার মানুষ আর তীব্র যানজটের কাছে শৃঙ্খলা বজায় রাখার সব ব্যবস্থাই মনে হচ্ছে অচল। এত মানুষ আর যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

মো. আমিনুল ইসলাম/এমবিআর/এমএস

Advertisement