শিক্ষা

প্রশ্নপত্রে পর্নোতারকার নাম : তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা

ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রে দুটি প্রশ্নে সম্ভাব্য উত্তরে দুই পর্নোতারকার নাম ছাপার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং দায়ী ব্যক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

শুক্রবার সকালে রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন : নবম শ্রেণির প্রশ্নে সানি লিওন-মিয়া খলিফা!

Advertisement

এবারের এ নিবন্ধন পরীক্ষায় সারাদেশের ২০টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩। এর মধ্যে কলেজ পর্যায়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৮৬ এবং নিন্ম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪ লাখ ৮২ হাজার ২২৫। স্কুল পর্যায়ে (এবতেদায়ি মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে) ৫৬ হাজার ৬২২। ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৫৪।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ এপ্রিল) নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের বহু নির্বাচনী প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়- ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী?’ এই প্রশ্নের সম্ভাব্য যে চারটি উত্তর দেয়া হয় তার মধ্যে ছিল পর্নোতারকা মিয়া খলিফার নাম! তবে তার নাম লেখা হয় ‘মিয়া কালিফা’।

শুধু তাই নয়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কিশোর উপন্যাস ‘আম-আঁটির-ভেঁপু’র (প্রশ্নে আঁটি বানানে চন্দ্রবিন্দু নেই) রচয়িতার সম্ভাব্য নাম হিসেবে রাখা হয় সাবেক পর্নোতারকা অভিনেত্রী সানি লিওনের নাম।

প্রশ্নপত্রটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা সমালোচনার মুখে পড়ে। একটি স্কুলের প্রশ্নপত্রে কীভাবে পর্নোতারকার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়, তা দেখে রীতিমতো হতবাক অভিভাবকরা।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয় প্রকাশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন ভুল হয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। তাছাড়া আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না বলে বিষয়টি প্রথমে জানতে পারিনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রশ্ন তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককের সঙ্গে কমিটির একাধিক সদস্য ও আমি মিটিং করেছি। শিগগিরই তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জেপি/জেএইচ/এমকেএইচ