দেশজুড়ে

৩০ বছর আগের টেলিফোন বিলে ধরা বিএনপি প্রার্থী

শরীয়তপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সরদার একেএম নাসির উদ্দিনের (কালু) মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় বাছাইকালে তার মনোনয়পত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন শরীয়তপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী আবু তাহের। ওই সময়কালে নাসির উদ্দিনের কাছে ৩ হাজার ৮১৫ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। এছাড়া টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় শরীয়তপু-২ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী বাদল কাজী ও শরীয়তপুর-৩ আসনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী সুশান্ত ভাওয়ালের মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়েছে। বাদল কাজীর কাছে ১১ হাজার ৮১ টাকা ও সুশান্ত ভাওয়ালের কাছে ২ হাজার ১২৩ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে টেলিফোন বিভাগের।

Advertisement

এছাড়া শরীয়তপুর-১ আসনের জাকের পার্টি প্রার্থী আলমগীর হোসেন ঋণ খেলাপি হওয়ায় ও শরীয়তপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সফি উদ্দিন মানিক হাওলাদার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষর জমা না দেয়ায় তাদেরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় তখন ওই তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই বিকেল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এ সময়ের মধ্যে ওই তিন পার্থী বিটিসিএলের রাজস্ব শাখা ফরিদপুরে বকেয়া বিল নগদ টাকায় পরিশোধ করেন। কিন্তু নির্বাচনী আইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে সকল বকেয়া বিল ও ঋণ পরিশোধ করার নিয়ম থাকায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বিএনপির প্রার্থী সরদার নাছির উদ্দিন কালু বলেন, আমার কোনো টেলিফোন বিল বকেয়া নেই। আমি ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। ২০০৪ সালে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হই। এতদিন পরে আমার টেলিফোন বিল কিভাবে বকেয়া হলো তা আমার জানা নেই। আমি প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করব।

ছগির হোসেন/এফএ/জেআইএম

Advertisement