অর্থনীতি

টানা দুই সপ্তাহ বাড়লো সূচকের লেনদেন

মূল্য সূচক ও লেনদেন বাড়ার মাধ্যমে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহ দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচক ও লেনদেন বাড়লো। অবশ্য এর আগের তিন সপ্তাহ শেয়ারবাজারে পতন ঘটে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে (৭ থেকে ১১ অক্টোবর) মূল্য সূচক ও লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্য সূচকও বেড়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৯০ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৮৯ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে এক হাজার ৩২৮ কোটি টাকা। এদিকে, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচক বাড়ে ৭৫ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪১ শতাংশ। অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ২৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচক বাড়ে ১৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৭২ শতাংশ। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ১৫ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচক বাড়ে ২০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১১১টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে, দাম কমেছে ২১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দাম। এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৭৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২০৩ কোটি সাত লাখ টাকা বা ৩৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৮৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় দুই হাজার ৮৭৯ কোটি চার লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ২ দশমিক ৪২ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৪১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ১৯০ কোটি ৬৩ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার। লেনদেনে এরপর রয়েছে ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, বিবিএস কেবলস, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সিঙ্গার বাংলাদেশ, ইফাদ অটোস ও কনফিডেন্সড সিমেন্ট। এমএএস/এমএআর/পিআর

Advertisement