খেলাধুলা

‘শ্রীলংকা-আফগানিস্তানের চেয়ে আমাদের ব্যাটিং সেরা’

এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে টাইগারদের অপর দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান। যেখানে বাংলাদেশকে দু’দলকে মোকাবেলা করতে হবে একবার করে। যেখান থেকে বিদায় নেবে এক দল। বাকি দুই দল উঠবে সুপার ফোরে। বাংলাদেশ কেমন করবে এই টুর্নামেন্টে?

Advertisement

তার ইঙ্গিত আগেরদিন একটু দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আজ (বুধবার) সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে গ্রুপের অন্য দুই দলের চেয়ে নিজেদের ব্যাটিং শক্তিশালী বলে দাবি করলেন ওপেনার সৌম্য সরকার। সংবাদ সম্মেলনে সৌম্যর কাছে জানতে চাওয়া হলো, তিন দলের মধ্যে ব্যাটিং ভালো কার?

জবাবে সৌম্য সরকার বলেন, ‘আমি অবশ্যই আমাদেরকেই এগিয়ে রাখবো। সবার উপরে রাখব। সম্প্রতি আমরা যেভাবে ওয়ানডে খেলেছি, তাতে আমাদের ব্যাটিং অন্য দুই দলের (শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান) চেয়ে অনেক বেশি ভালো।’

তবে সৌম্য এটাও মানেন, যতই ভালো হোক, তার প্রয়োগ ঘটাতে হবে মাঠে। সেটা যদি না হয়, তাহলে কোনো লাভ নেই। সৌম্য বলেন, ‘আমরা যদি সেখানে (এশিয়া কাপে) গিয়ে ভাল ক্রিকেট খেলি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবকিছুই ভালোভাবে করি, তাহলে আমার মনে হয় ফলাফল আমাদের পক্ষেই আসবে।’

Advertisement

যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের ব্যাটিং সেরা বলছেন সৌম্য, সেই আফগানিস্তানের কাছে জুনেই ভারতে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ হয়ে এসেছেন তারা। তাহলে কিভাবে এই দাবি করেন? প্রশান ছিল, শেষবার আফগানদের বিপক্ষে স্পিনে খারাপ করেছিলেন। ব্যাটিংয়ে আলাদা কোনো প্রস্তুতি নিয়েছেন কি-না এবার?

জবাবে সৌম্য বলেন, ‘ওটা ছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট। আর এটা ওয়ানডে। টি-টোয়েন্টিতে পেস বা স্পিন যাই থাকুক, রানের জন্য খেলতে হবে। আর রানের জন্য খেলতে গেলে উইকেট যাবেই। কোনোদিন সফল হবেন আবার কোনোদিন হবেন না।

এটা লম্বা খেলা, ৫০ ওভারের খেলা। একজন বোলারকে আপনি দেখার সময় পাবেন। টি-টোয়েন্টিতে সেটা পাবেন না। অবশ্যই এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করেছি যে কি ঘাটতিগুলো ছিল আমাদের। কোচের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা আশাবাদী যে, ওদের স্পিনাররা সফল হবে না আমাদের বিপক্ষে।’

তাহলে ব্যাটিংয়ে যে বাংলাদেশ এগিয়ে, সেটা কোন দিক দিয়ে। প্লেয়ারদের পারফরম্যান্স নাকি টেকনিকে? জানতে চাইলে সৌম্য বলেন, ‘ওয়ানডে কিভাবে খেলতে হয়, এখন আমরা সেটা জানি। সিনিয়ররা তো পারফর্ম করছেই। জুনিয়ররাও করছে, কিন্তু সেভাবে হাইলাইট হচ্ছে না। আমার কাছে মনে হয়, ওদের যে শক্তিশালী দিক বা আমাদের যে খেলার ধরণ, এই মুহূর্তে আমরা টপে।’

Advertisement

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের একটা কমন সমস্যা থাকে। দেখা যায়, একজন একটা শট খেলে আউট হল। পরের দিন আবার একই বলে একই শট খেলে আউট হল। এসব ক্ষেত্রে ব্যাটিং কোচের ভূমিকা কি। কোচ কিভাবে চায় বা আপনারা কি চান? জানতে চাইলে সৌম্য সরকার বলেন, ‘আমি ওর (ব্যাটিং কোচ) সাথে বেশিদিন কাজ করিনি। টি-টোয়েন্টির সময় গিয়েছিলাম। অল্প কাজ করার সুযোগ হয়েছে। অবশ্যই স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে হবে। কেননা, স্বাভাবিক খেলা থেকে কেউ বের হলে আপনি বুঝতে পারবেন যে ও স্বাভাবিক খেলার মধ্যে নেই। ও খেলার বলটা খেলছে না। বা একটু শেকি নেস (হাত কাঁপা বা অনভ্যস্ত অর্থে) আছে। সে যদি দলের জন্য খেলে বা সঠিক উপায়ে খেলে তাহলে সে মারার বলটা মারবেই।’

নিজেকের সম্পর্কে সাফাই গেয়ে সৌম্য বলেন, ‘আসলে এক এক জনের নেওয়ার ধরণ এক এক রকম। দেখা যাচ্ছে কেউ আজকে মারার বলটা মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেল, সে আর পরের দিন ওই বলে মারবে না। আবার দেখা গেল কেউ একটা মারার বল ছেড়ে দিল, পরে আবার ওই বলেই মারতে গেল, এটা আসলে এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। আমি আসলে মারার বলটা মারি সবসময়। কোচের কথা জানি না, কিন্তু আমি পাওয়ার ক্রিকেট খেলি। মারার বলটা সবসময় মারার চেষ্টা করি।’

আইএইচএস/এমএস