নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশ হত্যা মামলার চার্জশিট সাড়ে ৫ মাসেও দেয়া হয়নি।
Advertisement
মামলার অভিযোগ, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা লতিফুর রহমান পলাশকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। ইউপি নির্বাচনের জের, রাজনৈতিক ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিনি খুন হন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহতের বড় ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে লোহাগড়ায় থানায় মামলা করেন।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কুমড়ি গ্রামের শরীফ মুনীর হোসেন, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক দিঘলিয়া ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুজ্জামান, দিঘলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহম্মেদ মাসুম, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর সরদার, কুমড়ি গ্রামের বদিউর রহমানের ছেলে হত্যাসহ প্রায় একডজন খানের মামলার আসামি সোহেল খান, আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ মুনীর হোসেনের ভাই শরীফ বাকী বিল্লাহ, কুমড়ি গ্রামের বনি শেখ, কটু শেখ, হেদায়েত আলী, খায়ের শেখ, বাবু শেখ, রওশন শেখ, রিপন দত্ত, নজরুল ফকির ও রব মোল্যা। পরে আসামি শরীফ মুনীর হোসেন ও শরীফ বাকী বিল্লাহসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে এবং ৮ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে বর্তমানে জামিনে রয়েছে। এছাড়া ৪ জন আসামি এখনও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে।
এ মামলা বাদী নিহতের বড় ভাই সাইফুর রহমান হিলু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার সাড়ে ৫ মাস অতিবাহিত হলেও মামলার চার্জশিট দেয়া হচ্ছে না। মামলা থেকে গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের বাদ দেয়ার চক্রান্ত চলছে। এছাড়া আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত আসামিদের বাইরে আরও ৩ জনের নাম অর্ন্তভুক্তি করায় মামলা দুর্বল হয়েছে। এদিকে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তরের চিঠি আসলেও অজ্ঞাত কারণে চার্জশিট দিতে বিলম্ব করা হচ্ছে এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হচ্ছে না। ন্যায্য বিচার প্রাপ্তির আশায় তিনি এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Advertisement
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার ওসি তদন্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান পলাশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্ত কাজ শেষ হলেই আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হবে।
তিনজন আসামি অর্ন্তভুক্ত সম্পর্কে ওসি বলেন, তদন্ত সোর্সের মাধ্যমে এজাহারভুক্ত আসামির বাইরে আরও তিনজনের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। বাদীর অভিযোগ অস্বীকার তিনি বলেন, মামলাটি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
হাফিজুল নিলু/আরএ/আরআইপি
Advertisement