মেহেরপুরে বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার। বড় রোগের পাশাপাশি ছোটখাটো রোগেও হরহামেশাই অ্যান্টিবায়টিক ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকৎসকদের মতে, এভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হলে আগামীতে মহামারি দেখা দিতে পারে। বাড়তে পারে মৃত্যুর হার। এ বিষয়ে এখনই সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
Advertisement
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে বর্হিবিভাগ পর্যবেক্ষণে ২৫টি ব্যবস্থাপত্রের ১৯টিতেই পাওয়া যায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। অথচ এদের বেশির ভাগই স্বর্দি জ্বরে আক্রান্ত। কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চিকৎসকেরা এসব ওষুধ লিখছেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের উপ-সহকারি মেডিকেল কর্মকর্তা আফরোজা পারভিন বলেন, বারবার জ্বর আসার কারণেই তারা রোগীদের চিকিৎসা হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিক লিখছেন। অনেক ক্ষেত্রে রোগীরাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চায় না বলে জানান তিনি।
তবে রোগী ও স্বজনরা বলছেন, ওষুধ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। চিকিৎসকদের পরামর্শে তারা এসব ওষুধ ব্যবহার করছেন।
Advertisement
এদিকে পল্লী চিকিৎসকেরা হরহামেশায় সর্দি জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন। অনেকেই আবার চিকিৎসদের ফার্মেসি থেকে এই ওষুধ নিচ্ছেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আশিষ কুমার দেবনাথ বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার বিপরীতে কাজ করে। রোগীর ব্লাড কালচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা দরকার। তবে রোগীকে অবশ্যই ওষুধের ডোজ পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু ছোট শহরগুলোতে এখনও ব্লাড কালচার করার ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. জি কে এম শামসুজ্জামান বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারে অনেক অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে গেছে। হারিয়েছে কার্যকারিতা। এভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হলে মহামারি দেখা দিতে পারে, বাড়বে মৃত্যুর হার। আবার নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কার করতে হবে। এ ব্যপারে সরকারের পদক্ষেপের আহবান করেন তিনি।
আসিফ ইকবাল/আরএ/আরআইপি
Advertisement