বিয়ের পিঁড়ি সাজানো হয়েছিল। মন্ত্র-তন্ত্র পাঠও হয়েছিল। বিয়ের অর্ধেক অনুষ্ঠান প্রায় সারা। পাত্র-পাত্রীর সাত পাকে বাঁধা পড়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। এমন সময় বাজ পড়ল। তবে বিনা মেঘে নয়। আর তাতেই কেঁপে অস্থির হবু বর।
Advertisement
বরের এমন অাচরণে বিরক্তি প্রকাশ করে শেষমেশ বিয়েই ভেঙে দিলেন কনে। ভারতের বিহার রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিহার রাজ্যের সোনপুর থানার একটা গ্রামে বসেছিল বিয়ের আসর। সন্ধের দিকে শুরু হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। কাজ অনেকটা এগিয়েও ছিল। সবকিছু নির্বিঘ্নেই চলছিল। আর মাত্র কয়েকটা ধাপ। তারপরই পাকাপাকিভাবে দম্পতি হয়ে যেতেন পাত্র-পাত্রী। এমন সময় কাছাকাছি কোথাও বাজ পড়ে। সে আওয়াজ আর আলোর ঝলকানিতে চমকে ওঠেন পাত্র। শুধু চমকে ওঠাই নয়, পাত্র এমন ব্যবহার করতে শুরু করেন যা অন্যদের চমকে দেয়।
প্রচণ্ড ভয় পেয়েই এরকম করছেন তিনি, তা বুঝে যান সকলে। আর এতেই বিরক্ত হয়ে ওঠেন কনে। ভীতু পাত্রকে তিনি কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি হননি। অনেক অনুরোধ-উপরোধেও বরফ গলেনি। বিয়ের আসর ছেড়ে উঠে যান তিনি। শেষমেশ বিয়ে ভেঙেই যায়।
Advertisement
বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়াই। পাত্রপক্ষের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তাদের দাবি, কাছাকাছি কোথাও বাজ পড়লে সকলেই ভয় পেয়ে যেতে পারে। তা কোনো অপরাধ বা অন্যায় নয়। সুতরাং অন্যায্য কারণেই বিয়ে ভেঙেছেন কনেপক্ষের লোকেরা। কিন্তু কনে একেবারে নাছোড়। কোনোভাবেই তিনি এরকম ভীতু পাত্রকে বিয়ে করতে রাজি হননি। সাধারণত এক্ষেত্রে উল্টোই হয়। মহিলারাই বাজ পড়ায় ভয় পান বেশি। কিন্তু এমন উল্ট পুরাণ তিনি কখনও দেখেননি। তার উপর হবু বর যেরকম ব্যবহার করেছিলেন, তা-ও পছন্দ হয়নি তার। তাই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না তা একরকম পণ করে নেন তিনি। এবং সেই সংকল্প থেকে তাকে কিছুতেই টলানো যায়নি।
বাধ্য হয়েই কনেপক্ষের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এতে কোনো সুরাহা হবে কি না এখনও নিশ্চিত নয়। গোটা রাজ্যে এরকম ঘটনা এই প্রথম বলেই অনেকের মত।
এসআর/আরআইপি
Advertisement