অর্থনীতি

উন্নয়ন খাতে বৈদেশিক দ্বিগুণ অর্থছাড়

দেশের বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে প্রতিশ্রুত বৈদেশিক অর্থ ছাড়ের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে গতি বেড়েছে বলে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার হার বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে মোট ছাড় করেছে ৪২৩ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ে চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। গত বছরের এসময়ে ছাড় হয়েছিল ২৪৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

ইআরডি সূত্র জানায়, গত ১০ মাসে ঋণ হিসেবে ৩৯৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার এবং অনুদান হিসেবে ২৯ কোটি ৮৮ লাখ ডলার ছাড় করেছে। গত অর্থবছরের (২০১৬-১৭) একই সময়ের ছাড়ের মধ্যে ঋণ ছিল ২১১ কোটি ১২ লাখ ডলার এবং অনুদান ছিল ৩২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার।

এ হিসেবে ছাড়ের পরিমাণ বাড়লেও অনুদানের পরিমাণ কমেছে।

Advertisement

ইআরডি জানায়, অর্থছাড় বাবাড়লেও কমেছে প্রতিশ্রুতি। আলোচ্য ১০ মাসে ১ হাজার ১৭৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি দেয় উন্নয়ন সহযোগীরা। এর মধ্যে ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ১ হাজার ১৩৩ কোটি ২২ লাখ ডলার এবং অনুদানের অংশ ছিল ৪২ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় ১ হাজার ৮৮৮ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের ঋণ এবং ৩৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের অনুদান মিলে মোট ১ হাজার ৯২৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি ছিল। এ হিসাবে প্রতিশ্রুতি কমেছে ৭৪৮ কোটি ২৬ লাখ ডলার।

এ বিষয়ে ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, গত অর্থবছর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পেই অনেক বেশি অঙ্কের ঋণ চুক্তি সই হয়েছিল। এতে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ বেশি ছিল। এজন্য চলতি বছরের প্রতিশ্রুতির পরিমাণকে স্বাভাবিক।

ইআরডির তথ্য অনুসারে, সরকরের ঋণ গ্রহণের পাশাপাশি দিনে দিনে অর্থ পরিশোধও বেড়েছে। গেল অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৯৪ কোটি ৩৩ লাখ ডলার ঋণ শোধ করেছে সরকার। এর মধ্যে আসল ছিল ৭৫ কোটি ৬২ লাখ ডলার এবং সুদ ছিল ১৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। চলতি বছরের একই সময়ে সরকার ১১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণ শোধ করেছে, যা গেল অর্থবছরের ১০ মাসের তুলনায় ১৫ কোটি ডলার বেশি। পরিশোধিত ঋণের মধ্যে ৮৭ কোটি ৫৯ লাখ ডলার আসল এবং ২৩ কোটি ২১ লাখ ডলার সুদ ছিল।

এমএ/এমবিআর/পিআর

Advertisement