রাজনীতি

নতুন ছাত্রসংগঠনের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বেসরকারি শিক্ষার্থীদের

নতুন ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে’র কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর শাহবাগে বারডেম হাসপাতালের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি এবং মারামারির প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি, আন্দোলনে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছিল, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সেই আন্দোলনকে এক দফায় পরিণত করে। কিন্তু নতুন সংগঠনের কমিটিতে ঢাবি শিক্ষার্থীরাই পদ ভাগাভাগি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল ইসলাম নাহিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৭ জুলাই যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার ভয়ে লেজ গুটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান, তখন যারা তাদের তুলে এনেছিল এবং আন্দোলনকে এক দফায় পরিণত করেছিল, তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কিন্তু আজকে নতুন ছাত্রসংগঠনের কমিটিতে কোনো বেসরকারি শিক্ষার্থীকেই রাখা হয়নি। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে আমরা মধুর ক্যান্টিনে যাই, সে সময় কতিপয় শিক্ষার্থী আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং একটু সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই প্রত্যয় নিয়ে আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ইতিহাস গড়তে পারতো। কিন্তু তারা আজকে কমিটি প্রকাশের মাধ্যমে ঐতিহাসিক পরাজয় বরণ করেছে।

নাহিদ বলেন, তারা সংগঠনের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, তাদের এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমরা কেউ বাংলাদেশকে দেখতে পাই না। আমরা শুধু এই সংগঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই দেখতে পেয়েছি। আমরা দেখছি কমিটির সুপার সিক্সের ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, বাকি একজন সম্ভবত জাহাঙ্গীরনগরের। এই কমিটিতে প্রাইভেট নেই, জগন্নাথ নেই, কোনো মাদরাসাও নেই।

হাতাহাতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো মারামারি বা মার খেতে যাইনি। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আন্দোলনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক চাইতে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য দিয়ে যে কমিটি হয়েছে, আমরা সেটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। একই সঙ্গে জানিয়ে দিচ্ছি, তাদের এই কমিটিতে কোনো পদেই আমরা আর অংশগ্রহণ করবো না।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে চাই না। এমনকি ঢাবি সিন্ডিকেটকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা না চাইবে এবং কমিটি পুনর্গঠন না করবে, তাদের কোনো কর্মসূচিতেও আমরা আর অংশগ্রহণ করবো না।

Advertisement

এনএস/জেডএইচ/