তৃতীয় দফায় ছোলার দাম আরও ৫ টাকা কমিয়ে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ভোক্তারা চাহিদা মতো তা কিনতে পারবেন বলে সংস্থাটির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয় গত ৭ রমজান থেকে এ দাম কার্যকর হয়েছে।
Advertisement
এর আগে গত ১৭ মে প্রথম দফায় প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা, ছোলা পাঁচ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা এবং খেজুর প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমিয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করে টিসিবি। এছাড়া ১৭ মে দাম কমানোর পাশাপাশি বাড়ানো হয় পণ্যের পরিমাণ। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন ক্রেতা পাঁচ কেজি চিনি, পাঁচ কেজি মসুর ডাল, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল, ১০ কেজি ছোলা এবং দুই কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। যেখানে আগে একজন ক্রেতা চার কেজি করে চিনি ও মসুর ডাল, পাঁচ লিটার সয়াবিন, পাঁচ কেজি ছোলা এবং এক কেজি খেজুর কিনতে পারতেন।
এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২০ মে ছোলার দাম আরও ৫ টাকা কমিয়ে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করার ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে ট্রাক প্রতি বরাদ্দ ৩০০ থেকে ৫ হাজার কেজি এবং ডিলার প্রতি বরাদ্দও বাড়িয়ে ৫০০ থেকে ৫ হাজার কেজি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ভোক্তারা চাহিদা মতো তা কিনতে পারবেন বলেও জানানো হয়।
জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে পণ্যের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ৬ মে থেকে সারাদেশে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করে। সে সময় প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, খেজুর ১২০ টাকা এবং মসুর ডাল ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করেছিল।
Advertisement
উল্লেখ্য, রমজান উপলক্ষে সারাদেশে ১৮৪টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছে।
এমইউএইচ/ওআর/এমএস