জাতীয়

ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের হুমকি গার্মেন্ট শ্রমিকদের

বছরে ১০ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধিসহ পাঁচটি গ্রেড নির্ধারণ এবং অবিলম্বে ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণা করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা।

Advertisement

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের ছয়টি সংগঠন এ হুমকি দেয়। সংগঠনগুলো হচ্ছে- ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি), বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, গার্মেন্ট শ্রমিক ও শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চ, গার্মেন্ট শ্রমিক অধিকার আন্দোলন, গার্মেন্ট শ্রমিক মজুরি আন্দোলন ও গার্মেন্ট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে আইবিসির মহাসচিব মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে সরকার এ বছরের জানুয়ারি মাসে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নিম্নতম মজুরি বোর্ড ঘোষণা করে। জুন মাসের মধ্যে মজুরি বোর্ডের মজুরি রোয়েদাদ চূড়ান্ত করার কথা। কিন্তু মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে আশঙ্কা বিরাজ করছে যে, মজুরি বোর্ড আগামী জুন মাসের মধ্যে মজুরি রোয়েদাদ চূড়ান্ত করতে পারবে না।’

‘আমরা জানতে পেরেছি, মালিক পক্ষের (বিজিএমইএ) আন্তরিকতার অভাবে মজুরি বোর্ড তার কার্যক্রমে গতি সঞ্চার করতে পারছে না।’

Advertisement

‘আমরা আশঙ্কা করছি মালিক পক্ষ কালক্ষেপণের মাধ্যমে মজুরি রোয়েদাদ ঘোষণার সময় বিলম্বের পায়তারা করছে। যদি আমাদের আশঙ্কা সত্যি হয় তাহলে তৈরি পোশাক শিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে পারে যা কারওই কাম্য নয়। আমরা এ ব্যাপারে সরকার ও মালিক পক্ষকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, কোনো রকম কালক্ষেপণ হবে আত্মঘাতী পদক্ষেপ’- যোগ করেন তিনি।

মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি শিল্প উৎপাদন ও উন্নয়নের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে গার্মেন্ট শ্রমিকদের পঞ্চম গ্রেডের সহকারী অপারেটর শ্রমিকের মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণা করবেন। একই সঙ্গে কর্মহীন সময়ে তাদের বেসিক মজুরির সমপরিমাণ প্রদান করতে হবে। এসব দাবি আদালয়ে ঈদের পরে ঐক্যবদ্ধভাবে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল হক আমিন।

এআর/এমএআর/পিআর

Advertisement