২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ লক্ষ্যে কালো টাকাকে বৈধতা প্রদানের সুযোগ অব্যাহত না রাখার দাবি জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
এছাড়া প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা ও আলোচনার সুযোগ রাখা, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) এর জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। আর দুর্নীতি ও অনিয়মে জর্জরিত রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংকের সংকটের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলিকরণসহ জনগণের করের টাকায় মূলধন যোগানোর কোনো ধরনের সুযোগ বাজেটে না রাখার কথাও বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের আহ্বান জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘কালো টাকাকে বৈধতা প্রদান সংবিধানের ২০ (২) ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ প্রদান একদিকে যেমন নৈতিক অবক্ষয়কে প্রশ্রয়ের দৃষ্টান্ত, তেমনি দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় এটিও প্রমাণিত যে, এই জাতীয় অসাধু চর্চা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও কোনো সহায়ক ভূমিকা পালন করে না। অন্যদিকে, কালো টাকাকে বৈধতা প্রদান যেমন অসাংবিধানিক তেমনি অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি সহায়ক।’
Advertisement
এইচএস/জেএইচ/এমএস