স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউয়ে জন্মগত ত্রুটি ৫.৫ শতাংশ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গত বছর জম্ম নেয়া এক হাজার ৫৪০ নবজাতকের মধ্যে ৮৫ জন জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মে। সে হিসাবে এই হাসপাতালটিতে নবজাতকের জম্মগত ক্রুটির হার শতকরা সাড়ে ৫ শতাংশ।

Advertisement

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের জন্মগত ত্রুটির গবেষণা ‘ন্যাশনাল নিউনেটাল পেরিনেটাল ডাটাবেজ (এন এন পি ডি) অ্যান্ড নিউবর্ন বার্থ ডিফেক্ট (এন বি বি ডি) সার্ভিলেন্স ইন বাংলাদেশের উদ্যোগে নবজাতকের জন্মগত ত্রুটির ওপর গবেষণামূলক দুইদিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহায়তায় আয়োজিত এই কর্মশালায় মৃতজাত, জন্মগত ত্রুটির হার নির্ণয়, কারণগুলো এবং প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনার ওপর বিশদ আলোচনা করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. খালেদা ইসলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. মামাদু হাদি দিয়ালো। সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান। নিউবর্ন বার্থ ডিফেক্ট (এন বি বি ডি) সার্ভিলেন্স ইন বাংলাদেশের অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্যগুলো তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে।

Advertisement

কর্মশালায় দেশের ১৬টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের শিশু এবং স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞরাসহ ৬০ জন অংশ নেন।

বিশ্বব্যাপী জন্মগত ত্রুটির হার প্রতি ১০০ জনে ৩ থেকে ৬ জন (শতকরা ৩ দশমিক ৬ ভাগ)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, জন্মগত ত্রুটির ওপর আয়োজিত এই কর্মশালা জন্মগত ত্রুটির হার নির্ণয়, নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক হবে। এই কার্যক্রমে বিএসএমএমইউয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

এমইউ/জেডএ/এমএস

Advertisement