নিজ শহর চট্টগ্রাম লিগের মতো বংশ পরিক্রমায় ঢাকা লিগের সঙ্গ ও তার আত্মিক সম্পর্ক। চাচা আকরাম খান, আফজাল খান, বড় ভাই নাফিস ইকবালের পর তিনিও ঢাকা লিগ খেলছেন এক যুগ ধরে; কিন্তু হাঁটুর ইনজুরির কারণে এবার ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট, মানে প্রিমিয়ার লিগে খেলা হয়নি তামিম ইকবালের।
Advertisement
এই যে খেলতে না পারা, সেটা অনেক আবেগের। ঢাকা লিগকে সত্যিই মিস করেছেন চট্টগ্রামের খান পরিবারের এই সদস্য। প্রিমিয়ার লিগকে মন থেকে ভালবাসেন। ঢাকা লিগ উপভোগ করেন প্রাণ ভরে। তাই তো আজ (মঙ্গলবার) সাংবাদিকদের সাথে আলাপে তামিম বলেই ফেললেন, ‘সত্যিই ঢাকা লিগ খেলাটা খুব এনজয় করি।’
ঢাকা লিগে খেলতে না পারাটা তামিমের জন্য হতাশাজনক। তিনি বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের এই আসরটাই আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। এ আসরের মান অনেক উঁচুতে। এখানে খেলোয়াড়রা শতভাগের চেয়ে বেশি এফোর্ট দেয়। এ রকম একটা আয়োজনে খেলতে না পারাটা হতাশাজনক; কিন্তু এই মুহূর্তে ইনজুরি থেকে সেরে উঠাই আমার মূল কাজ। কারণ, সামনে জাতীয় দলের অনেক খেলা আছে। আশা করি, ফিট হয়ে গেলেই আমি খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবো।’
নিজে খেলতে না পারলেও প্রিমিয়ার লিগ ঠিকই ফলো করেছেন। কে কেমন খেলেছেন, কার পারফরমেন্স কি তা ভালোই জানা। তাইতো অগ্রজপ্রতিম মাশরাফি বিন মর্তুজার বোলিংয়ের প্রশংসার পাশাপাশি তরুণদের আরও বেশি করে জ্বলে উঠতে না পারায় খানিক আফসোসও রয়েছে ভিতরে।
Advertisement
বলার অপেক্ষা রাখে না মাশরাফি এরই মধ্যে সর্বাধিক উইকেট শিকারী হিসেবে নিজের নাম লিখে ফেলেছেন। বাংলাদেশের ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ইতিমধ্যে ৩৮ উইকেটের পতন ঘটিয়ে রেকর্ড বুকে নিজেকে নাম প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন তিনি।
তামিমের অনুভব, জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়কের এমন অসামান্য বোলিং তরুণ ও পরবর্তী প্রজন্মর জন্য বড় অনুপ্রেরণার প্রতীক হতে পারে।
মাশরাফির বোলিং নিয়ে তামিমের কথা, ‘উনি প্রায় ক্যারিয়ারের শেষ দিকে। এমন সময়ে এসে এ রকম পারফর্ম করা সহজ নয়। তার এই নজরকাড়া পারফরমেন্স এটাই প্রমাণ করে, উনি ঘরোয়া লিগকেও কতোটা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। উনি যদি পাঁচ বা দশভাগ কম দিয়েও খেলতেন, তাহলে এই অর্জন তিনি পেতেন না। যারা তাকে আদর্শ মনে করেন বা বাংলাদেশ দলের বোলার হতে চান, তাদের জন্য মাশরাফি ভাইয়ের এই পারফরম্যান্স একটা অসাধারণ উদাহরণ।’
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement