বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) সদস্যদের গুলিতে ইব্রাহীম (৩২) নামে এক চোরাকারবারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে দৌলতপুর সীমান্তের তেরঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এসময় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ গাইট ভারতীয় মালামাল, একটি ওয়ান শুটার গান এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছে বিজিবি।
তবে পরিবারের দাবি নিহত ইব্রাহীম একজন ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক। নিহতের লাশ বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত ইব্রাহীম বেনাপোল পোর্ট থানার ইয়াকুব মোড়লের ছেলে।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল তারিকুল হাকিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গোপন সূত্রে জানা যায়, ১৫-২০ জনের একদল চোরাকারবারী ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য নিয়ে দৌলতপুর সীমান্তের তেরঘর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহল দল আগে থেকে সেখানে অবস্থান নেয়। চোরাকারবারীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে গেলে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে টহল দলের উপর অতর্কিত আক্রমণ করলে চোরাকারবারীদের সঙ্গে বিজিবির গুলি বিনিময় হয়।
Advertisement
এতে ইব্রাহিম নামে এক চোরাকারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া পাঁচ গাইট ভারতীয় মালামাল, একটি ওয়ান শুটার গান এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। চোরাকারবারীর লাশ, উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও জব্দকৃত মালামাল বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
নিহত ইব্রাহীমের ভাতিজা রুস্তম আলী বলেন, তার চাচা মোটরসাইকেল ভাড়া চালায়। তিনি ওই রাতে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে থানা থেকে তার নিহতের খবর আমাদের দেয়া হয়। কীভাবে ওখানে গিয়ে মারা গেল তা এখনও আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। বুকে গুলি লেগে তিনি নিহত হয়েছেন।
বেনপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ফিরোজ উদ্দিন জানান, বিজিবি ও চোরাকারবারীদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এসময় ইব্রাহিম নামে এক চোরাকারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তার বুকে গুলি লেগেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জামাল হোসেন/এমএএস/এমএস
Advertisement