বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিলের ওপর শুনানি সোমবার অষ্টম দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চে এ আপিল মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান সোমবার শুনানিতে ট্রাইব্যুনালে মামলায় প্রমাণিত অভিযোগে প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য উপস্থাপন শেষ করেন। শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পরপরই গত ১৬ জুন শুরু হয় আপিল বিভাগে আসা ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে পঞ্চম আপিলের শুনানি। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল আবেদনটি আপিল বিভাগে পঞ্চম আপিল মামলা। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর এ আপিল দায়ের করেন।আসামি পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে যেসব অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দন্ড দেয়া হয়েছে আপিলে সেসব অভিযোগ থেকে খালাসের আর্জি জানানো হয়েছে।’অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে রাস্ট্রপক্ষ আপিল করেনি। তবে আপিলে আসামিপক্ষের শুনানির সময় রায় বহাল রাখার পক্ষে আর্জি পেশ করে যুক্তি উপস্থাপন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।২০১৩ সালের ১অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১-এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল সাকা চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেয়।রায়ে বলা হয়, সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড ২, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে ২০ বছর করে জেল এবং ১৭ ও ১৮ নং অভিযোগে তাকে ৫ বছর করে জেল দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনাল-১।মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ২৩টি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। সাকা চৌধুরীকে ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের এক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।এসএইচএস/আরআই
Advertisement