অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আমরা নির্ধারিত সময়ের (২০৩০ সাল) মধ্যেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করতে চাই। তবে এটা খুবই ব্যয়বহুল প্রকল্প। তাই এসডিজি বাস্তবায়নে বিভিন্ন দাতা দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি অধিক পারিমাণে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইআরডি আয়োজিত গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ইফেক্টিভ ডেভলপমেন্ট কো-অপারেশনের (জিপিইডিসি) স্টিয়ারিং কমিটির দুই দিনব্যাপী ১৪তম সভা উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। সভায় ১৬২টি দেশ ও ৫৬টি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
এ সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম, অতিরিক্ত সচিব মনোয়ার আহমেদসহ স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ে আমরা সফলতার সঙ্গে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) বাস্তবায়ন করেছি। এবার এসডিজি বাস্তবায়নের পালা। আমরা নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন করতে চাই।
Advertisement
তিনি বলেন, এসডিজি অনেক ব্যয়বহুল প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ থেকে যোগান দেয়া দুষ্কর। তাই এ খাতে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি বেশি বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার আলোকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন এবং জ্ঞান ও তথ্য বিনিময়ের সম্প্রসারণ এ দেশগুলোর জন্য বহুমুখী কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। এ জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও অধিক মাত্রায় তথ্য ও জ্ঞান বিনিময় করতে হবে।
উল্লেখ্য, বৈদেশিক সহায়তাকে কার্যকর করার জন্য একটি বৈশ্বিক ফোরাম হিসেবে কাজ করছে জিপিইডিসি। জাতিসংঘের বিভিন্ন সদস্য দেশ ও উন্নয়ন সংস্থা এর সদস্য। জিপিইডিসির প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে এর স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে দায়িত্ব পালন ও নেতৃত্ব দিচ্ছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
এমইউএইচ/এমএমজেড/এআরএস/জেআইএম
Advertisement