এবার পবিত্র হজ পালন করতে ইতোমধ্যে পবিত্র নগরী মক্কায় এসে পৌঁছেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের অন্তত ২০ লাখ মানুষ।
Advertisement
গত বছর হজ বর্জন করলেও এ বছর হজে ফিরেছে ইরান। সৌদি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হজের নিরাপত্তা ও অদূরদর্শিতার অভিযোগ তুলে হজ বর্জন করেছিল দেশটি।
এ বছর হজ পালনে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ এসেছে পৃথিবীর সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে। প্রতিবছর দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করতে আসেন।
এদের একজন ৪৭ বছরের এনি। হজে আসতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি। বলেন, আমি দারুণ খুশি। কারণ অনেকের এখানে আসার স্বপ্ন থাকে। এ জায়গা ছেড়ে গেলে আমরা আরও বেশি ধর্মীয় বিষয়াদি অনুভব করি।
Advertisement
এনির মতো প্রতিদিন হজ করতে মক্কা নগরীতে প্রবেশ করছেন অন্তত ১০ হাজার হজযাত্রী।
এদিকে, এবারের হজে অংশ নিচ্ছেন রেকর্ডসংখ্যক ইরানি। ২০১৫ সালে হজে ক্রেন দুর্ঘটনায় ও পদদলিত হয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হাজির মৃত্যুর ঘটনার সৌদির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে ইরান। ২০১৬ সালের শুরুতে তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকলে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে রিয়াদ। ফলে গত বছর হজ বর্জন করে ইরান। তবে এবার হজে অংশ নিচ্ছে অন্তত ৮৬ হাজার ইরানি।
অন্যদিকে, গত জুনের শুরুতে সৌদি ও কাতারের সম্পর্কের টানাপোড়েনে দেখা দেয় নতুন করে মধ্যপ্রাচ্য সংকট। কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সহায়তার অভিযোগ তুলে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদির নেতৃত্বে মিশর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আরিমাত। পরে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে দেশগুলো।
Advertisement
এর ফলে এবার হজে কাতারিদের অংশগ্রহণ নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ হজের সময়ে অবরোধ শিথিলের ঘোষণা দেয়। সে সুযোগে এরইমধ্যে হজ করতে সৌদি পৌঁছেছেন কাতারের বিপুলসংখ্যক নাগরিক।
হজে আসতে পেরে দারুণ খুশি পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আসা পৃথক বর্ণ-গোত্রের মুসলিমরা। এদের একজন নাইজেরিয়া থেকে আসা মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, এবারও হজে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। এবার তৃতীয়বারের মতো হজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সামর্থ্য থাকলে আমি প্রতি বছরই হজ করতে চাই। প্রতিবারই এটা প্রথমবারের মতোই মনে হচ্ছে।
এবার বিপুলসংখ্যক হজযাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রয়েছেন এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের। যেখানে ইসলামিক স্টেট ও জঙ্গি কার্যক্রম বিস্তার লাভ করছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী জঙ্গি হামলার হুমকি বৃদ্ধি সত্ত্বেও অন্যান্য দেশ থেকে হজে এসেছেন অনেকে।
তাদের একজন ফ্রান্স থেকে আসা ফাতিমা। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এ সময়ের অপেক্ষা করেছি।
এসআর/জেআইএম