বরিশাল নগরীতে পরকীয়া প্রেমিকাসহ জনতার হাতে আটক মহানগর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের এসআই মাইনুলকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করার পরও প্রেমিকার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৮ বছর বয়সী শিশুকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শামীম তালুকদার।
এ সময় তিনি বলেন, ২০০৭ সালে জেবুন্নেছাকে আমি বিয়ে করি। আমাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। গত ৩-৪ বছর আগে এসআই মাইনুলের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়।
এরই সূত্র ধরে মাইনুল তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। সন্তানের লেখাপড়া করানোর সুবাদে বাবুগঞ্জের মাধবপাশা থেকে বরিশাল নগরীতে বাসা ভাড়া নেই আমরা।
Advertisement
শামীম তালুকদার জানান, তখন থেকেই জেবুন্নেছার সঙ্গে মাইনুলের অবৈধ সম্পর্ক হয়। এ নিয়ে গত ৬ মাস আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হলে আগের বাসা ছেড়ে দিয়ে নগরীর গোরস্থান রোড খাদিজা মঞ্জিলে বসবাস শুরু করেন জেবুন্নেছা।
ওই বাসার ভাড়া পরিশোধ করতেন এসআই মাইনুল। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট ওই বাসায় জেবুন্নেছা ও এসআই মাইনুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে পাশের অপর বাসিন্দারা দরজায় তালা ঝুলিয়ে পুলিশে খবর দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২ আগস্ট এসআই মাইনুলকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়।
শামীম তালুকদার আরও বলেন, এরপর থেকেই এসআই মাইনুল আমাকে অব্যাহতভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ঘটনায় আমি এসআই মাইনুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, শামীমের কাছে তিনি এক লাখ টাকা পাবেন। ওদিন টাকা আনার জন্য শামীম তার বাসায় যেতে বলেছিল। কিন্তু শামীম আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন কাজ করেছে।
Advertisement
সাইফ আমীন/এএম/আরআইপি