দেশজুড়ে

মা-মেয়েকে একই খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ঘরের টিনের চালে ইট মারার অভিযোগে মা-মেয়েকে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার (০৭ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার জামজামি ঘোষবিলা গ্রামে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। বর্তমানে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নির্যাতিতরা হলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়ানের ঘোষবিলা গ্রামের মসজিদপাড়ার হানেফ আলির স্ত্রী রিনা খাতুন ও তার মেয়ে ইয়াসমিন। ইয়াসমিন ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।

Advertisement

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামজামি ইউনিয়ানের ঘোষবিলা গ্রামের মসজিদপাড়ার মিস্টার আলির ঘরের টিনের চালে কে বা কারা বেশ কিছু দিন ধরে ইট মারে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বিকেলে মিস্টার আলির টিনের চালে ইট মারে। বিষয়টি প্রতিবেশী কমেলা খাতুন ও রিনা খাতুনকে দোষারোপ করে মিস্টার আলি। সন্ধ্যায় মিস্টার আলি ইট মারার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী রিনা খাতুনের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে।

একপর্যায়ে মিস্টার আলি, তার স্ত্রী, মা, ভাই ও সন্তান মিলে রিনাকে মারার জন্য লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। মা-মেয়ে ভয়ে প্রতিবেশী আব্দুল মান্নানের বাড়িতে আশ্রয় নিলে মিস্টার গং সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে ধরে নিয়ে আসে তাদের বাড়িতে।

পরে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মিস্টারসহ পরিবারের সদস্যরা এলোপাতাড়ি লাঠিসোটা ও বাটাম দিয়ে মারধর করে আহত করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে গ্রামবাসীরা খবর দিলে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ, মিস্টার আলি বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এ জন্য পরিবারটি আতঙ্কে রয়েছে। ইয়াসমিন ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। গত রাতেই আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিস্টারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এত বড় ঘটনা হবে বুঝতে পারিনি।

জানতে চাইলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য লোক পাঠিয়েছি ঘটনাস্থলে। তার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এএম/আরআইপি