দেশজুড়ে

ধামরাইয়ে প্রেমিকের বাড়িতে নারী ইউপি সদস্যের অনশন

স্বামী-সন্তান রেখে ভালোবাসার  টানে বিয়ের ‘স্বীকৃতি’র দাবিতে দুইদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন ঢাকা জেলার ধামরাই  সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী সদস্য। বিয়ের ‘স্বীকৃতি’ না পাওয়া পর্যন্ত একই ইউনিয়নের শিয়ালকুল গ্রামের প্রেমিক আব্দুল আলীম পলাশের (২৩) বাড়িতেই অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার নারী ইউপি সদস্য নাজমিন সুলতানা প্রিয়সীর অনশনের বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর থেকেই স্থানীয়দের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ছে এ খবর। স্থানীয় সূত্র জানায়, ইউপি সদস্য প্রিয়সী বিবাহিত। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়েও রয়েছে। স্বামী-সন্তান থাকলেও প্রায় এক বছর ধরে তার সঙ্গে পলাশের পরকীয়া প্রেম চলছে।

Advertisement

অনশনরত প্রিয়সীর দাবি, বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী ও দু্ই সন্তান রেখে পলাশের সঙ্গে নিয়মিত অভিসার শুরু করেন তিনি। এর মধ্যে পলাশ তার স্বামী পিন্টু মিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে ধামরাই সদরে বাসা ভাড়া করেও দিয়েছেন। ‘সেই বাসায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন পলাশ। তাদের মধ্যে দৈহিক সর্ম্পকও গড়ে ওঠে। কিন্তু পরিবারের চাপে আমায় স্বীকৃতি দিচ্ছে না পলাশ।’তিনি বলেন, ‘গত ২০ এপ্রিল ধামরাই পৌর এলাকার কাজী অফিসে ১০ লাখ টাকার দেনমোহরে পলাশের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। এর আগে তিনমাস আগে পলাশের কথায় আমার প্রথম স্বামীকে আমি তালাক দিই। কিন্তু এখন পলাশ ও তার পরিবার আমাকে মেনে নিচ্ছে না।’বিয়ের স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত ইউপি সদস্য প্রিয়সী আরও বলেন, ‘যে পর্যন্ত আমাকে তারা মেনে না নিবে, সে পর্যন্ত আমি এই বাড়িতেই অবস্থান করব। আর তা না হলে আত্মহত্যা করব। কারণ এছাড়া আমার আর কোনো পথ খোলা নেই।’ পলাশের চাচা চাঁন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ভাতিজা যদি বিয়ে করে থাকে এবং সে যদি সে স্ত্রী হিসেবে প্রিয়সীকে মেনে নেয় তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন শিয়ালকোল গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে পলাশ। তবে তিনি প্রিয়সীর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক ও বাসায় আসা-যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। যোগাযোগ করা হলে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমএমএ