দিনাজপুরে লিচুর মৌসুম শুরু হয়েছে। বাগানিরা তাদের বাগানের লিচু ভাঙতে শুরু করেছে। বাজারে আসতে শুরু করেছে প্রচুর লিচু। জেলার ১৩টি উপজেলার লিচু বাগানে কমপক্ষে ১ লক্ষ নারীর ১ মাসের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সংসারের পাশাপাশি তারা গড়ে ২৫০ টাকা করে এই ১ মাসে সাড়ে ৭ হাজার করে টাকা আয় করবে। সাথে তারা পরিবারে খাওয়ার জন্য পাবে পর্যাপ্ত লিচু।
Advertisement
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার মাটি ও জলবায়ু লিচু উৎপাদনের উপযোগী হওয়ায় লিচু চাষে রীতিমত বিপ্লব ঘটেছে। জেলায় ৪ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ২৯৮টি বাগানে ৬ লাখ ৪৫টি গাছে লিচু উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন।
বাগানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাগানগুলোতে লিচু ভাঙা শুরু হয়েছে। এতে নারীরা লিচু বাছাই ও বাঁধার কাজ করছে। একেকটি বাগানে ১৫ থেকে শুরু করে ৩০ জন পর্যন্ত নারী কাজ করছে। যারা গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০ টাকা করে মজুরি পেয়ে থাকে। এ কাজ চলবে ১ মাস। তাতে সংসারের কাজের পাশাপাশি লিচু বাছাই ও বেঁধে দিয়ে ১ মাসে কমপক্ষে সাড়ে ৭ হাজার টাকা আয় করবে।
বাগানি ও ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম, লুৎফর রহমান, জাকির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, লিচুর এই মৌসুমে কমপক্ষে ১ লক্ষ নারীর ১ মাসের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে।
Advertisement
সদর উপজেলার মাসিমপুর লিচু বাগানে কাজ করতে আসা শাহানারা, মৌসুমী, ছাবিয়া, মর্জিনা, সুমি, জাহেদা জানান, তারা প্রতিবছরই এ কাজ করে থাকেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কাজ করে। বিকেলে লিচু ভাঙলে বাগানিরা খবর পাঠায় বা মুঠোফোনে জানালে বিকেলে এসে কাজ করে। যেসব লিচুর বোটা ছুটে যায়, ফেটে যায় বা কালো দাগ হয়; সেসব লিচু তাদের দিয়ে দেয়।
দিনাজপুর কৃষি অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত ৪-৫ বছর ধরে নারীরা লিচু বাগানে কাজ করছে। তাদের মজুরি কম এবং কাজ পরিচ্ছন্ন হওয়ায় বাগানি ও ব্যবসায়ীরা নারীদের দিয়ে কাজ করাতে বেশি আগ্রহী।’
প্রতিনিধি/এসইউ/জেআইএম
Advertisement