জাতীয়

পুলিশের সব ইউনিটে একই পোশাক থাকবে: ডিএমপি কমিশনার

বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের জন্য আলাদা পোশাক থাকলেও আগামীতে সেটি আর থাকছে না। পুলিশ বাহিনীর জন্য পরিবর্তন হতে যাওয়া মূল পোশাকটিই পরবে বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা। আগের মতো আর ইউনিট অনুযায়ী আলাদা পোশাক থাকবে না। সবাই একই পোশাক পরবে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাকে পরিবর্তন নিয়ে আসছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।

আরও পড়ুন

Advertisement

র‍্যাব, পুলিশ ও আনসারের নতুন পোশাক নির্ধারণ সমস্যা পোশাকে না, পুরো সিস্টেমে: সারজিস

পুলিশের মূল বাহিনীর পোশাকে বদল আসছে। এক্ষেত্রে ডিএমপির পোশাকও বদলাচ্ছে কি না- জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশসহ র‍্যাব ও আনসারের পোশাক বদলাচ্ছে। গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই তিন বাহিনীর জন্য আলাদা পোশাকের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, তবে বাহিনী হিসেবে পুলিশের পোশাক বদলালেও তা অন্য ইউনিটগুলোর জন্য বদলাচ্ছে না। যা আছে তা-ও থাকছে না। অর্থাৎ বদলে যাওয়া নতুন পোশাকই পরবে পুরো পুলিশ বাহিনীর সব ইউনিটের সদস্যরা। আমরা সবাই একই পোশাক পরবো।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে দুই লাখ সদস্য আছে। ১৯ হাজার সিভিল স্টাফ আছে। বিভিন্ন ইউনিটে আগে পোশাকের ভিন্নতা ছিল। এটি কার্যকর হওয়ার পর ইউনিটগুলোর জন্য পোশাকে আর কোনো ভিন্নতা থাকবে না। সবাই একই পোশাক পরবে।

ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিক রিকশা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে সামনের দিনগুলোতে আর ঘর থেকে বের হতে পারবো না। মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহনসহ বিভিন্ন জায়গায় একই কথা বলছি। রিকশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমিই বেশি কথা বলছি। চিঠিও দিয়েছি। কীভাবে লাইসেন্স দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, ট্যাক্স আদায় করা যায়, সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেসব নিয়েও কথা বলছি।

Advertisement

ডিএমপি কমিশনার এর সমাধানে পরামর্শ দিয়ে বলেন, এটি সত্য যে, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত লোকেরাও এটিকে (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) ইনকামের সোর্স বানিয়েছেন। সব শহরেই টেক্সি আছে। তারা কিন্তু সংখ্যা বাড়ায়নি। বরং এর লাইসেন্স খরচ অনেক বেশি। কিন্তু আমাদের ব্যাটারিচালিত রিকশা বাড়ছে। এটি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সড়ক, শহরের অবস্থা ক্যাপাসিটি অনুযায়ী এর নিয়ন্ত্রণমূলক অনুমোদন দিতে পারি। আমরা ১০০ বা ২০০ টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকভাবে লাইসেন্স ফি নির্ধারণের কথা বলেছি। এটি থাকলে বোঝা যাবে কোনটা বৈধ আর কোনটা বৈধ নয়। কোনটা ঢাকার আর কোনটা ঢাকা শহরের বাইরে থেকে এসে ঢুকে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন

কেমন হলো পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম? পরিবর্তন হচ্ছে জেলা-মেট্রোপলিটন পুলিশের ইউনিফর্ম-লোগো

তিনি আরও বলেন, লাইসেন্সের আওতায় আনতে না পারলে কিন্তু কোনোভাবেই ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। আমাদের সেই জায়গায় যেতে হবে। কোনো দেশে এটি সম্ভব নয় যে, আপনি রাস্তা ব্যবহার করবেন কিন্তু ট্যাক্স দেবেন না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সহ-সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান, নির্বাহী সদস্য জিয়া খান, ইমরান রহমান ও মোহাম্মদ জাকারিয়া।

ডিএমপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম; উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান ও উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) শাহ মো. আব্দুর রউফ; মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. জাহাঙ্গীর কবির।

টিটি/এমকেআর/জিকেএস