আন্তর্জাতিক

পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে বলবেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব হস্তান্তর বিষয়ক টিমের প্রধান রবার্ট উইলকি বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলবেন ট্রাম্প। তিনি আরও জানান, ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও ফোন করে বলবেন যে তিনি যথেষ্ট করেননি।

Advertisement

যদি পুতিন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ট্রাম্পের কথা না শোনেন তাহলে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ আমেরিকার জ্বালানির শক্তি দেখাবে। উইলকি বলেন, আমেরিকার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস ইউরোপে যাওয়া শুরু হবে এবং বিশ্ব তেলের বাজারে আমেরিকার উপস্থিতি তেলের দাম কমিয়ে দেবে, যা রাশিয়ার অর্থনীতিকে দেউলিয়া করবে। এটি পুতিনের যুদ্ধকালীন অর্থনীতিকে বড় ধাক্কা দেবে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে বৈরী সম্পর্ক থাকলেও পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক বেশ ভালো। একই চিত্র উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গেও। কিম জং উনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কের রসায়ন বেশ ব্যতিক্রমী। প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকার সময় নিরস্ত্রীকরণে রাজি করাতে নিজেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্যোগ নেন ট্রাম্প।

২০১৯ সালে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ায় পা রাখেন ট্রাম্প। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি কিম জং উনের খোঁজ নিয়েছেন। শপথ গ্রহণের পর কয়েকশ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থানরত সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন ট্রাম্প।

Advertisement

সেসময় তিনি জিজ্ঞেস করেন, সবাই কেমন আছেন ওখানে? কিম জং উন কেমন আছেন? তার এই রসিকতা শুনে উপস্থিত অনেকেই হেসে ওঠেন। বড় পর্দায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটির কমান্ড সার্জেন্ট মেজর রবিন বলমার।

তিনি ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা আপনাকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত প্রেসিডেন্ট। এর আগে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সামনে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়া নিয়ে কথা বলেন।

আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিয়েই কিম জং উনের খোঁজ নিলেন ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্প/ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে সই

সেসময় তিনি দেশটিকে একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে তার এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, আমেরিকার লক্ষ্য হওয়া উচিত উত্তর কোরিয়াকে নিরস্ত্রীকরণ করা এবং আমেরিকার উচিত এই লক্ষ্যে অবিচল থাকা।

টিটিএন

Advertisement