কৃষি ও প্রকৃতি

কৃষকদের আশার আলো দেখাচ্ছে ক্যাপসিকাম

জয়পুরহাটের সবজির সুনাম দেশজুড়ে। নতুন নতুন সবজি চাষের মধ্যে ক্যাপসিকাম চাষেও পরিচিতি বেড়েছে। ধান, গম ও আলু চাষ করে যেখানে লোকসান হতো; সেখানে ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল এক চাষি। এক সময়ের ফুটপাতে ডাব বিক্রেতা আব্দুর রশিদ বর্তমানে সফল কৃষি উদ্যোক্তা। বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করে সবার নজর কেড়েছেন তিনি। স্থানীয় কৃষি বিভাগও মনে করছে, ব্যক্তিগত এ উদ্যোগ উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের অনুপ্রাণিত করবে।

Advertisement

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ধনতলা গ্রামের আব্দুর রশিদ জাগো নিউজকে জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে ঢাকায় বাবার সাথে ফুটপাতে ডাব বিক্রি করতেন। আড়াই বছর আগে ইউটিউব দেখে বাড়িতে এসে শুরু করেন কমলা বাগানসহ নানা জাতের ফসল। বর্তমানে ১ একর জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।

আব্দুর রশিদ বলেন, ‘পোকা দমনে ব্যবহার করেছি হলুদ ফাঁদ ও ফেরোমন ফাঁদ। জমিতে প্রয়োগ করেছি গোবর ও কিছু পরিমাণে সার। এসব ব্যবহার করায় ক্যাপসিকামের প্রচুর ফলন হয়েছে। কোনো প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার না করায় এখন উৎপাদিত ক্যাপসিকাম বিষমুক্ত।’

আরও পড়ুন ব্রোকলি চাষে সফল মিরসরাইয়ের কৃষি উদ্যোক্তা মামুন গাইবান্ধায় বিটরুট চাষে কৃষক দম্পতির সাফল্যের সম্ভাবনা

তিনি বলেন, ‘১ বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছি ৩ লাখ টাকার বেশি। বাকি সময়ে আরও প্রায় ৫ লাখ টাকা বিক্রি হওয়ার আশা করছি।’

Advertisement

কৃষক কালাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রথমবার ক্যাপসিকাম চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন আব্দুর রশিদ। রমজানে বাজারজাত করতে পারলে আরও লাভবান হতেন। আগামী বছর আব্দুর রশিদের পাশাপাশি অনেক কৃষক ক্যাপসিকাম চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

ধনতলা গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘অন্য ফসলের চেয়ে রশিদ ভাইয়ের ক্যাপসিকাম অনেক ভালো হয়েছে। আমি এ বছর করলা লাগানোর চিন্তা করেছিলাম। তবে এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম। আমিও এবার ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম লাগাবো।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মজিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘উচ্চমূল্যের ফসল চাষে কৃষককে উৎসাহ দিয়ে থাকে কৃষি বিভাগ। জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু হয়েছে। তবে ছত্রাক, থ্রিপস ও মাইটের আক্রমণ বেশি। এ ক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যা করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে।’

আল মামুন/এসইউ/এএসএম

Advertisement