খেলাধুলা

ফ্রাঙ্কফুর্টকে এক হালি দিয়ে পয়েন্ট আরও বাড়ালো বায়ার্ন

জার্মান বুন্দেসলিগায় ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে টেবিলটপার বায়ার্ন মিউনিখ। ফুটবলের অসাধারণ প্রদর্শনী দেখিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার লেভারকুজেনের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছে বুন্দেসলিগা জায়ান্টরা।

Advertisement

২৩ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন। সমান ম্যাচে লেভারকুসেনের পয়েন্ট ৫০। অর্থাৎ অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের চেয়ে ৮ পয়েন্ট বেশি বায়ার্নের ঝুলিতে। ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ফ্রাঙ্কফুর্ট।

রোববার ঘরের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় পুরো ম্যাচ জুড়েই আধিপত্য দেখিয়েছে বায়ার্ন। সফলতার সঙ্গে ফ্রাঙ্কফুর্টের আক্রমণের পরিকল্পনাও নস্যাৎ করেছে তারা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর এটি প্রথম জয় বায়ার্নের।

ম্যাচের পর বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন আমরা জিতেছি। তবে আমরা শান্ত থাকবো। যেমনটা আমরা গত কয়েক দিনে ছিলাম (গত সপ্তাহে লেভারকুজেন এবং মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেল্টিকের বিপক্ষে ড্রয়ের পর)। খেলার কয়েক দিন আগে থেকেই আমরা অনুভব করেছিলাম যে দলটি আরও ক্ষুরধার হয়ে উঠছে। আজ জয়ের জন্য অনেক কারণ ছিল।’

Advertisement

‘খেলার শুরু থেকেই দুই দলের তীব্রতা ছিল অনেক বেশি। তবে আমাদের পক্ষে খেলার গতি বদলাতে সক্ষম হয়েছি। খেলোয়াড়রা আজ সত্যিই জয়ের ক্ষুধার্ত ছিল’-যোগ করেন কোম্পানি।

প্রথমার্ধে দুর্দান্তভাবে আক্রমণ শুরু করে বায়ার্ন। একাধিক সুযোগও সৃষ্টি করে। এ অর্ধের অতিরিক্ত সময়ে লেরয় সানের কাটব্যাক থেকে মাইকেল ওলিসে সহজ গোল করে বায়ার্নকে লিড এনে দেন (১-০)।

প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে জোশুয়া কিমিচ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। আগামী মাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে লেভারকুজেনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এই চোট বায়ার্নের জন্য বড় ধাক্কা। যদিও ম্যাচের পর কোম্পানি জানান, কিমিচের চোট তেমন গুরুতর নয়।

বায়ার্ন তাদের আক্রমণের গতি ধরে রাখে এবং ৬১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে। ফ্রাঙ্কফুর্টের গোলরক্ষক কেভিন ট্রাপ কর্নার বল ভুলভাবে অনুমান করলে হিরোকি ইতো সেই সুযোগ কাজে লাগান। বায়ার্নের হয়ে এটি ছিল জাপানি তারকার প্রথম গোল এবং বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের হয়ে গোল করা প্রথম জাপানি খেলোয়াড়ও তিনি।

Advertisement

কাফ ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা হ্যারি কেইন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামেন। ইংলিশ ফরোয়ার্ডের সামনে ৭৮ মিনিটে তৃতীয় গোলের সুযোগ আসে। তবে লেরয় সানে গোলের সামনে থেকে শট বাইরে মারেন।

৮৩ মিনিটে জামাল মুসিয়ালা একক প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত গোল করেন। এতে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ফ্রাঙ্কফুর্টের ক্ষণভাগ তখনও সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত সময়ে বদলি খেলোয়াড় সের্জ জিনাব্রি চতুর্থ গোলটি করেন। এতে ৪-০ গোলে জয় নিশ্চিত হয় বায়ার্নের।

এমএইচ/এএসএম