ভারতের মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনের আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যন্ত্রটি ব্যবহার করলে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের প্রতীকই বের হয়ে আসছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দুজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
মধ্যপ্রদেশে আগামী সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু রাজ্যটিতে ভোটের আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পরীক্ষা করার সময় কর্মকর্তারা দেখতে পান, যন্ত্রটিতে যে কোনও বোতাম চাপলেই শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক আঁকা স্লিপ বের হয়ে আসছে।
দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দিল্লি থেকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে। কর্মকর্তাদের ইভিএম পরীক্ষা করার এ ভিডিওটি গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইভিএমে এমন অদ্ভুত ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। এছাড়াও দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের দুটো প্রতিনিধি দলও পাঠানো হচ্ছে মধ্যপ্রদেশে।
Advertisement
৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের শুরু থেকে নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত এ দল দুটো মধ্যপ্রদেশেই থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভারতের বিন্দে প্রদেশে ইভিএম পরীক্ষার সময়ই গন্ডগোল ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ওই প্রদেশের নির্বাচনী কাজে দায়িত্বরত কমিশনের একজন কর্মকর্তা ও একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে অন্য জায়গায় বদলি করে দেয়া হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানায়নি।
গত মাসেই ভারতের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল দেশটির নির্বাচনে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
প্রায় দুই দশক আগে ভারতের নির্বাচনে প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হলেও এখন কয়েকটি রাজনৈতিক দল অভিযোগ করছে ইভিএমে ভোট জালিয়াতির সুযোগ রয়েছে।
Advertisement
মধ্যপ্রদেশে ইভিএমে এমন গন্ডগোল ধরা পড়ার পর কেজরিওয়াল বলেন, ‘তিনি শুরু থেকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের বিরোধী। যখন পুরো বিশ্ব নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করছে, তখন আমরা কেন এটা ব্যবহার করব?’
সদ্য সমাপ্ত উত্তর প্রদেশের ভোটে ইভিএমে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী।
তারপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং দিল্লির কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনও অভিযোগ করেন যে, ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব।
তবে ভারতের নির্বাচন কমিশন বরাবরই বলে আসছে, ভোট যন্ত্রে কারচুপি করা সম্ভব নয়। আর দেশের সব ভোটে ইভিএম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
টিটিএন/এমএস