প্রবাসীদের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন কুয়েতের এক এমপি। তার মতে, যদি কোনো প্রবাসীর নিজের দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা কুয়েতি দূতাবাসের অনুমোদন না থাকে তবে তাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে না।
Advertisement
এমপি সাফা আল হাসেম পার্লামেন্টে তার প্রস্তাবনায় জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ কোনো সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত এবং প্রধান প্রধান সড়কের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স বন্ধ রাখা উচিত।
তবে যারা ব্যক্তিগত চালক হিসেবে কাজ করবেন তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবেন। ট্রাফিক আইন মেনে না চললে বা কর্মক্ষেত্রে জালিয়াতি বা কোনো ধরনের অপব্যবহারের ঘটনার প্রেক্ষিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া বন্ধ থাকবে।
সোমবার আল রাই পত্রিকাকে সাফা আল হাসেম বলেছেন, যদি লাইসেন্সধারী ব্যক্তি কোনো অনিয়ম করেন তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।
Advertisement
ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে কোনো প্রবাসী কুয়েতে গাড়িও কিনতে পারবেন না। নিজের প্রস্তাবনায় কুয়েতি এমপি আরো বলেছেন, কুয়েতে একজন প্রবাসীর একটির বেশি গাড়ি থাকতে পারবে না।
কুয়েতের আইন অনুযায়ী, এমপির এই প্রস্তাবনা পার্লামেন্ট থেকে অনুমোদন পেলে তা আইনে পরিণত হবে।
আল হাসেম পার্লামেন্টের ৫০ সদস্যের মধ্যে একমাত্র নারী। গত বছরের নভেম্বরের ২৬ তারিখে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি প্রবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
রাস্তা দিয়ে হাঁটা, নিজের দেশে টাকা পাঠানো, হাসপাতালে সেবা বা ওষুধ গ্রহণ সব কিছুতেই প্রবাসীদের ট্যাক্স দিতে হবে বলেও প্রস্তাব করেছেন তিনি।
Advertisement
কুয়েতের প্রায় ৪৪ লাখ মানুষই প্রবাসী। আল হাসেমের এমন প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন অনেকেই।
টিটিএন/জেআইএম