জাতীয়

মানবপাচার প্রতিরোধে প্রয়োজন মৃত্যুদণ্ড : র‌্যাব ডিজি

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘অনিবন্ধিত ও ভুঁইফোড় এজেন্সির মাধ্যমে জনশক্তি রফতানির নামে মানবপাচারের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। মানবপাচার প্রতিরোধে তাই শক্ত আইন দরকার। এর সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে ১২ বছর। শুধু ১২ বছর নয় মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা উচিত।’রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে শনিবার দুপুরে আয়োজিত ‘নিরাপদ অভিবাসন এবং মানবপাচার প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামসুন্নাহার।বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ) সভাপতি ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। গার্মেন্টস শিল্পে স্থিরতা ফিরেছে। বাংলাদেশ যেখানে উন্নয়নের ম্যাজিক হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সেখানে দেশের কোনো নাগরিক যদি অবৈধভাবে বিদেশে কাজ করতে গিয়ে জিম্মি হয় কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয় তা কারও পছন্দ হবে না।’‘৭/১০ লাখ টাকা খরচ করে আফ্রিকায় যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই’ উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এখনই বাংলাদেশে আফ্রিকান দেশগুলো থেকে লোকজন চাকরির জন্য আসছে। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হবে অন্য কোনো দেশের জন্য চাকরির বাজার। সেখানে বাংলাদেশ থেকে ৭-১০ লাখ টাকা খরচ করে আফ্রিকার কোনো দেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং দেশ থেকে কেউ যদি দুই লাখ টাকা খরচ করে টঙ দোকানও করেন, তিনি ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।’অনুষ্ঠানে র‌্যাব ডিজি নিরাপদ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধে করণীয় এবং বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেশকিছু সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠান শেষে আফ্রিকা, মোজাম্মিক ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গিয়ে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত ১০ নাগরিককে এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।জেইউ/এমএআর/আরআইপি

Advertisement