বিনোদন

‘পুষ্পা ২’ সিনেমার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের গুরুতর অভিযোগ

সাম্প্রতিক সময়ে বলিউডে মুক্তি পাওয়া আলোচিত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘পুষ্পা’ অন্যতম। এটি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। এবার সিনেমাটির বিরুদ্ধে সমাজে কুপ্রভাব ফেলার অভিযোগ উঠেছে। থুতনির নিচ থেকে হাত সরিয়ে বিশেষ কায়দায় আল্লু অর্জুন বলে ওঠেন, ‘ঝুঁকেগা নেহি’।

Advertisement

আবার কখনো একটা কাঁধ উঁচু করে হাঁটেন তিনি চরিত্রের জন্যই। ‘পুষ্পা’র চরিত্রে অভিনয় করা আল্লুর চলাফেরার এ স্টাইল সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছিল। অনেকেই এই কায়দা নকল করে নিজেরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিও তুলে পোস্ট করতেন। এবার ঠিক এ কারণেই আঙুল উঠল আল্লুর দিকে।

ভারতের হায়দারাবাদের ইউসুফগুড়ার এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ‘পুষ্পা’ সিনেমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তার অভিযোগ, এ সিনেমার জন্যই শিক্ষার্থীরা দিন দিন বখে যাচ্ছেন। শিশুদের উপর ব্যাপক কুপ্রভাব পড়ছে। সম্প্রতি শিক্ষা সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকেরা। তখনই বিষয়টির উপর আলোকপাত করা হয়। শিক্ষার্থীদের ওপর চলচ্চিত্র কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

ইউসুফগুড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক ক্ষোভপ্রকাশ করে দাবি করেন, বিশেষ করে সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের সামাল দেওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। এমন নয় যে তারা স্কুলে নিয়মিত আসছে না। কিন্তু শিষ্টাচার, কথা বলার ধরন— কিছুই তাদের মধ্যে ঠিক নেই। কথায় কথায় অপশব্দের ব্যবহার করছে। এমনকি শিক্ষিকার দাবি, ‘পুষ্পা-২’ দেখেই অদ্ভুত চুলের ছাঁট নিয়ে স্কুলে আসছে তারা। বাবা-মায়েরাও এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

Advertisement

শিক্ষিকা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ওদের আচার-আচরণ মোটেই সুবিধাজনক নয়। কথায় কথায় গালিগালাজ করে। বিশেষ করে চুলের ছাঁটও খুব খারাপ। মানুষের সান্নিধ্য কিভাবে পেতে হয় তা শিখতে বললে ওরা আমাদের কথায় কান দেয় না। ওদের মা-বাবারও যেন কিছুই যায়-আসে না।’ এ বিষয়গুলো সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুলে ধরেছেন সেই শিক্ষক। নেটিজেনদের কাছ থেকেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

নেটিজেনদের একজনের ভাষ্য, ‘এই হচ্ছে কুরুচিকর সিনেমার অবদান। আমি জীবনেও এ ধরনের সিনেমা দেখিনি এবং দেখার জন্য উৎসাহও দিইনি। বিনোদন হিসেবেও কেনো এ ধরনের সিনেমা দেখানো হবে? ভালো জিনিস দেখেও তো বিনোদন সম্ভব।’

আরও পড়ুন সাবেক স্ত্রীর অসুস্থতায় এ আর রহমানের অনন্য দৃষ্টান্ত  ভিকির ‘ছাবা’ ১০০ কোটির মানহানি মামলার মুখে 

অন্যদিকে একজন ভিন্নমত পোষণ করে লিখেছেন, ‘সিনেমার দোষ দিলে হবে? শিক্ষার্থীদের মানুষের সান্নিধ্যে গেলে কি করতে হবে তা শেখানো তো শিক্ষকদের দায়িত্ব।’

এমএমএফ/জিকেএস

Advertisement