ছিনতাই-চাঁদাবাজি ঠেকাতে প্রতিটি এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: শিবির

সম্প্রতি দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জানিয়েছে, বিগত দুই মাসে ৩৩৬টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ৭৯৭টি ছিনতাই এবং ১০৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বিগত দুই-তিন মাস ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে সরকারের যেসব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রয়েছে, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত যেসব বাহিনী রয়েছে, তাদের আরও সক্রিয় হয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিবির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, প্রতিটি এলাকায় নিজ উদ্যোগে একেকটি কমিউনিটি গড়ে তুলুন। সামাজিকভাবে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, ধর্ষকদের প্রতিহত করতে হবে। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে যেভাবে ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে, সেভাবে সবাই একত্র হয়ে আবার যদি তীব্র আন্দোলন করতে পারি, তাহলে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, ধর্ষকরা পালানোর জায়গা পাবে না। দেশ আমাদের। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদদের চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পতনের পর থেকে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে তারা বিভিন্নভাবে হুংকার দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা গোপনে থেকে মিছিল মিটিং করার চেষ্টা করছে। তারা টার্গেট কিলিং করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেফতারের পরে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ৭২৩ জন ফ্যাসিবাদের দোসরকে আদালত কর্তৃক জামিন দেওয়া হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে শঙ্কিত।

এসময় মানববন্ধনে শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মু. মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদীসহ কেন্দ্র ও মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এএএম/এমএইচআর/জিকেএস