সরকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে নতুন নিয়োগ পদ্ধতি প্রবর্তন করেছে। এ পদ্ধতিতে আবেদনকারীদের নিজ উপজেলাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবং তাদের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ঐচ্ছিক বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করে সর্বোচ্চ মেধাবীকে সুযোগ দেয়া হবে।এছাড়া নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে এক মাসের মধ্যে বাছাইকৃত প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হবে। অর্থাৎ প্রার্থীদের তাদের নিজ নিজ উপজেলায় চাকরি নিতে হবে। নিজ উপজেলায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে জেলার মেধা তালিকা থেকে এবং জেলায় পাওয়া না গেলে বিভাগ থেকে; তাও না পাওয়া গেলে জাতীয় মেধা তালিকা থেকে নেওয়া হবে। জেলাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আগে পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোকে (একই জেলার অন্তর্ভুক্ত উপজেলাগুলো) অগ্রাধিকার দিয়ে, তারপর জেলাকে অগ্রাধিকার দিলে মনে হয় ভালো হতো। যদি কোনো একটি বিষয়ের নিবন্ধনে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ব্যক্তি তার উপজেলার একাধিক প্রতিষ্ঠানে একই বিষয়ে আবেদন করে, তখন তো সেসব প্রতিষ্ঠানে মেধায় প্রথম স্থান অধিকার করবে। কিন্তু যোগদান করতে পারবে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি সবিনয় অনুরোধ, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের আবেদনকৃত প্রতিটি বিষয়ে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেও নিয়োগের ব্যবস্থা রাখা; তা না হলে প্রতিষ্ঠান শিক্ষক সংকটে পড়বে। তাই অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেও নিয়োগের ব্যবস্থা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি অনুরোধ জানাই।লেখক: শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি।এসইউ/এবিএস
Advertisement