সরকারি তথ্য মতে দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী। এদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে না পারলে সম্পদের বদলে এরা দেশের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কাজেই জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করাই হোক সরকারের মূল লক্ষ্য। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন উপলক্ষে গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন ‘দেশে সাড়ে চার কোটি কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী রয়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার এখন কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে। আমরা মনে করি, যদি তাদের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া যায়, তাহলে দেশের জনসংখ্যা আর বাড়বে না। সরকার মেয়েদের সব ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, সমাজে শিক্ষিত মা তৈরি হলে একদিকে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমে আসবে, অন্যদিকে জনসংখ্যাও বাড়বে না।’ কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে দেশের ১০০টি সেবাকেন্দ্রে কিশোরবান্ধব স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।আয়তনের তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা অধিক। ঘন বসতির কারণে বাড়ছে নানা সমস্যা। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্য, বাসস্থান স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা এক বিরাট কর্মযজ্ঞ।এ জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এক সময় জোর দেওয়া হলেও এখন তেমন একটা কার্যক্রম চোখে পড়ে না। যদিও সরকার বলছে, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবার পরিকল্পনার সেবা দেওয়া বন্ধ করা হয়নি। আগের চেয়ে এখন যোগাযোগব্যবস্থা অনেক ভালো হওয়ায় লোকজন নিজেরাই সেবাকেন্দ্রে চলে আসেন। বাড়ি বাড়ি যাওয়ার ততটা প্রয়োজন হয় না। এরপরও প্রয়োজন হলে বাড়ি বাড়ি যাওয়া আরও বাড়ানো হবে।’ দেশে এখন মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ৩। এ হার ২-এ নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এ জন্য সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুনোর বিকল্প নেই। দেশে দিন দিন বেকারত্বের হার বাড়ছে। অন্যদিকে বাড়ছে জনসংখ্যা। এ অবস্থা চলতে থাকলে সব ক্ষেত্রেই একটি নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হবে। এ জন্য জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হলে দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণেও নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। এইচআর/পিআর
Advertisement