ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ততই বাড়ছে ক্রেতাদের ভীড়। সারাদিন রোজা রাখার পর ক্রেতাদের ক্লান্ত শরীর যেন তাদের মনকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখতে পারছেনা। ব্যস্ত নগরিতে দিনে সুযোগ না হলে সন্ধ্যার পর পরিবার নিয়ে ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌচাক মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, পরিবার নিয়ে শপিং করতে এসেছেন হাজারো ক্রেতা। পছন্দের পোষাক কিনতে দোকানে দোকানে ঘুরাঘুরিতেই ব্যস্ত তারা। আর দোকানিরাও হাসিমুখেই বিক্রি করছেন তাদের পণ্য। মতিঝিলে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন মিজানুর রহমান। সন্ধ্যায় পরিবার নিয়ে শপিং করতে এসেছিলেন মৌচাক মার্কেটে। তিনি জানান, শেষ মুহূর্তে অনেক বেশি ভীড় হয় তাই একটু আগেই কেনাকাটা করতে এসেছি। তবে দামে খুব বেশি ফারাক না হলেও তুলনামূলক বেশি বলে জানান তিনি। মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন উৎসবে নারীদের পোষাক নিয়ে বাড়তি উচ্ছ্বাস থাকলেও এবার পুরুষদের পোষাকেও যেন কমতি নেই। সমান তালেই সব বয়সীদের পোষাক বিক্রি হচ্ছে। হরেক রকম কালেকশন থাকায় পছন্দের পোশাক কিনে হাসিমুখেই ফিরছেন ক্রেতারা। দোকানিরা জানান, মেয়েদের নানা ডিজাইনের পোষাক এবার প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। এ বছর লং কামিজ এবং গাউনের চাহিদা যেন ফিরে এসেছে। গাউনের সঙ্গে চুড়ি ফুলস্লিভ হাতা বেশ চলছে। গ্রাইন লং ফ্রোক ছাড়াও তরুণীরা ঝুঁকছেন ‘বলিউড গাউন’র দিকে। এটি ‘ফ্লোর টাচ গাউন’। এ পোশাকটি মূলত পাশ্চাত্য ঢঙের। তবে ডিজাইনে কিছুটা পরিবর্তন ও পোশাকের সামনের দিকে জমকালো কারুকাজ দিয়ে একে ভারতীয় ঘরানার করা হয়েছে। সুফিয়ান নামের এক ব্যবসায়ী জানান, এবারের ঈদে তরুণীরা গ্রাউন লং কামিজ আর লাছার দিকেই বেশী ঝুকছে। তবে কোটিওয়ালা লং জামার উপর জরি সুতার কাজ করা লাছার বিক্রি বেশ ভালো। তিনি বলেন, এবার ঈদে নতুন যে পোষাকগুলো এসেছে তার অধিকাংশই ভারতীয় হিন্দি সিরিয়ালের আদলে। বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বেচা-বিক্রি ভালো। অনেকেই দ্রুত বোনাস পেয়েছেন তাই ক্রেতা সমাগম বেড়ে গেছে। এদিকে, ঈদে বিপণি বিতানগুলোতে তরুণীদের মন কেড়েছে লাছা। নামটা পুরনো হলেও ঢং টা একেবারেই নতুন। জর্জেট কাপড়ের উপর লং ঘোরানো জামাতে পুরোটাই জরি সুতার কাজ। সঙ্গে গর্জিয়াস ওড়না। গতবার লাছায় লিলেন কাপড়ের প্রাধন্য বেশী থাকলেও এবার ব্যাবহার করা হয়েছে জর্জেট ও বাহারি নেটের কাপড়। দোকানীরা জানান, গরমের কথা মনে রেখেই কামিজে সুতি, লিলেন, সিল্ক, অ্যান্ডি সুতি, অ্যান্ডি সিল্ক, হাফসিল্ক, মসলিন কাপড় বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে একটু বেশীই গর্জিয়াস করতে টিস্যু, সিল্ক ও জর্জেট কাপড়ে কারচুপি ও জারদৌসির ডিজাইন আর উজ্জ্বল রঙকে প্রাধান্য দিয়ে চুমকি, পাথর ও উজ্জ্বল সুতার কাজ করা হয়েছে।এমএম/এএইচ/পিআর
Advertisement