ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। রাজধানীর ফ্যাশন হাউস ও বিপণিবিতানগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের ভিড়। একই সঙ্গে বিপণিবিতানকেন্দ্রিক যানজটও এখন লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে, ততই মার্কেটমুখী হচ্ছে মানুষ। ব্যয়বহুল বিপণিবিতানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানেও জমে উঠেছে বেচাকেনা। এদিকে, ঈদের কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন যানজটের ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। ঈদ শপিং মানে আনন্দ কিন্তু রাস্তায় নামলেই অসহনীয় যানজটে আটকে শপিংয়ের আনন্দ ম্লান হয়ে যাচ্ছে। প্রতি রমজানেই যানজটে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে। মূলত কেনাকাটার ভিড়, যত্রতত্র পার্কিং, হকার ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের রাস্তা দখল করে দোকান বসানো সব মিলিয়ে নগরবাসীকে মাসজুড়েই পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। রাজধানীতে গত কয়েক দিন ধরে অসহনীয় যানজট যেন চরম যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছে। ব্যস্ততম সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতেও যানবাহনের জটলা লেগে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ১০-১৫ মিনিটের রাস্তা এক ঘণ্টায়ও অতিক্রম করা সম্ভব হচ্ছে না। ঈদ শপিংয়ে শ্যামলী থেকে কলেজপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে নিউমার্কেটে এসেছেন গৃহিণী সুলতানা আহমেদ। যানজটের ভয়াবহতা নিয়ে তিনি বলেন, রোজা রেখে গরমের পাশাপাশি যানজট সহ্য করার ক্ষমতা হয়তো সবার নেই। ঈদ উদযাপনে মানুষ শপিংয়ে বের হবে কিন্তু যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব যাদের তারা কোনই পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি বলেন, এক ঘণ্টার পথ এলাম সাড়ে তিন ঘণ্টায়। দ্রুত পৌঁছাতে মাঝে দুইবার বাস বদল করলাম। প্রতিটা দিন এমন যানজট আর সহ্য হয় না। প্রতিদিন কেন এমন যানজট এ বিষয়ে গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নুসরাত জাহান মুক্তা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার পাশাপাশি অফিস শেষে সবারই বাসায় গিয়ে ইফতারি করার প্রবণতা থাকে। এ কারণে রমজানের শুরু থেকেই কিছুটা যানজট হচ্ছে। তবে ট্রাফিক বিভাগ যানজট নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে যত্রতত্র পার্কিং থেকে বিরত থাকা এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। তেজগাঁও শিল্প অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল ইউসুফ বলেন, যানজট নিরসনে লেন পরিবর্তন রোধে রশি দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্রসিং মোড়ে প্লাস্টিকের থাম দিয়ে চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে।এএস/জেইউ/এএইচ/পিআর
Advertisement