খুলনার বাজারে সবজির দাম কম রয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে প্রায় সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কম রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতা একটু কম।
Advertisement
রোববার (২৯ জুন) নগরীর শিরোমনি বাজার, গল্লামারি বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, নতুন বাজার, রুপসা বাজার, নিউ মার্কেট, খালিশপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুঁইশাক ২০-২৫ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, পটোল ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, লাল শাক কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ৬০-৭০ টাকা কেজি, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা কেজি, আলু ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা ২৫ টাকা হালি, শসা ৭০-৮০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা এবং রসুন ৮০-১০০ টাকা।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
মাছের বাজারে, কই মাছ ২০০-২৫০ টাকা কেজি, রুই মাছ ২৫০-৩০০, টেংরা ৪০০-৫০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ৩০০-২২০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা এবং পাঙাস মাছ ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
খুচরা সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতা একটু কম। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় বেচাকেনা বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে এ সপ্তাহে কিছু সবজির দাম কমেছে। সবজির দাম কম থাকলে ক্রেতারাও বেশি বেশি কেনে।
শিরোমনি বাজারের সবজি বিক্রেতা সালাম মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতা একটু কম। তবে সবজির দাম অনেকটা কম। সব সবজির দামই ৫-১০ টাকা কেজিতে কমেছে।
নতুন বাজারের মাছ বিক্রেতা হাসান শেখ বলেন, মাছের বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্রি নেই তেমন। সাগরের মাছ কিছুটা বিক্রি হলেও ঘেরের মাছ বিক্রি নেই।
Advertisement
গল্লামারি বাজারে আসা একরাম হাওলাদার বলেন, শাক সবজির দাম অনেকটা কমেছে। মুরগির দামও অনেকটা কম রয়েছে। তবে ঘেরের মাছ আর দেশি মাছের দাম অনেক। এজন্য মাছের দিকে ঝোঁক কম।
রুপসা বাজারে আসা সোহাগ হোসেন বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কমেছে। একটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে এসে। তবে দেশীয় মাছের দাম একটু নাগালে থাকলে ভালো হয়।
নিউজ মার্কেট বাজারে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, সবজির দাম এখন পর্যন্ত কম রয়েছে। তবে মাছের দাম কিছুটা বেশি। মাছের দাম আরেকটু কমলে ভালো হয়।
আরিফুর রহমান/এফএ/জিকেএস