সাতক্ষীরা সদরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। মারাত্মক আহত অবস্থায় আছিয়া খাতুন নামের ওই নারীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত জামাই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন।
Advertisement
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আছিয়া খাতুন কাজীপাড়া গ্রামের আকিমুদ্দীনের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আছিয়া খাতুন জানান, তার মেয়ে আয়েশা খাতুনের সঙ্গে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক গাজীর ছেলে আবুল খায়ের মিলনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মিলন তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। কিন্তু দুই সন্তান নিয়ে আয়েশা সংসার করে যাচ্ছিলেন। তিন মাস আগে মারধর করে আয়েশাকে দুই সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন মিলন। এরপর থেকে আয়েশা খাতুন নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে থাকছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার (৭ জুলাই) সকালে মিলন কয়েকজন লোক নিয়ে এসে আমার ৮ বছরের নাতনিকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে দুপুরে আবার বাড়িতে ফিরে আসে এবং মেয়েকে মারধর করে। এরপর ছোট ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমি বাধা দিই। তখন সে আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আমি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সে পালিয়ে যায়।’
Advertisement
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজার রহমান মাকা বলেন, ‘আয়েশা খাতুনকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তার স্বামী। কয়েকবার সালিশি বৈঠক হয়েছে, কিন্তু মিলনের আচরণ পরিবর্তন হয়নি। সোমবার সে শ্বশুরবাড়িতে এসে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জামাই আবুল খায়ের মিলন বলেন, ‘শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শাশুড়িকে ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান। এসময় দেওয়ালে লেগে তার মাথায় আঘাত লাগে। আমি ইচ্ছা করে মারিনি।’
সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আহতের ছেলে আজিজুল হক বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আহসানুর রহমান রাজীব/এসআর/এএসএম
Advertisement