কুমিল্লার মুরাদনগরে ১৩ দিন পর ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে এ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
Advertisement
এদিকে ওই নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ছড়ানোর মূলহোতা শাহপরানের রিমান্ড শুনানি বুধবার (৯ জুলাই) কুমিল্লার আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসআই রুহুল আমিন জানান, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণের পর নির্যাতন, নিপীড়ন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেফতার হলেও তিনি এখনো পুলিশ হেফাজত থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
Advertisement
তিনি আরও জানান, নিপীড়ন ও বিবস্ত্রের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রধান হোতা হিসেবে অভিযুক্ত ফজর আলীর ছোট ভাই শাহ পরানকে পর্নোগ্রাফি মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার শাহপরানের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে। এরআগে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
১৩ দিন পরে কেন ভুক্তভোগী নারীর মেডিকেল পরীক্ষা হলো জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন বলেন, ঘটনার পর গত ২৭ জুন দুপুরে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ভুক্তভোগী নারী তার মত বদলান। তিনি কর্তব্যরত চিকিসককে জানিয়ে দেন, পরীক্ষাতে তার সম্মতি নেই। যে কারণে ওই সময় পরীক্ষাটি সম্পন্ন করতে পারেননি চিকিৎসক। মঙ্গলবার তিনি মেডিকেল পরীক্ষা করতে স্বীকৃতি দিলে দুপুরে ফরেনসিক বিভাগে তার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/এমএস
Advertisement