জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (১৮ জুন) দলীয়ভাবে সংলাপে অংশ না নেওয়ার কারণ জানানো হবে বলে দলটি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু হলেও জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিদল যোগ দেয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বের দলটির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে যোগ দিয়েছেন। এনসিপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিও রয়েছেন।
যদিও এর আগের প্রতিটি সংলাপে জামায়াত গুরুত্বসহকারে অংশ নিয়েছে। লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক এবং তার পরবর্তী যৌথ বিবৃতিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার পরপরই জামায়াতের এ অনুপস্থিতি দেখা গেল।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘আমরা আজকের সংলাপে অংশ নিইনি। আগামীকাল অংশ নেবো কি না এবং আজ না যাওয়ার কারণ কী—এ বিষয়ে কাল দলের নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন।’
Advertisement
একই বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘আজ আমরা সংলাপে যাচ্ছি না।’
জামায়াতের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকে দেওয়া যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করাকে ‘দৃষ্টিকটু’ বলে মনে করেছে দলটি। তাদের অভিযোগ, এতে জামায়াতকে ‘ইগনোর’ করা হয়েছে। তারা মনে করে, দেশে ফিরে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করলে সেটি আরও গ্রহণযোগ্য হতো।
ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, জামায়াত আজকের সংলাপে থাকবে না—এ তথ্য তারা আগেই জানিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লন্ডনের যৌথ ঘোষণায় উপেক্ষিত হওয়ার প্রতিবাদস্বরূপ তারা এ সংলাপে যোগ দিচ্ছে না। তবে সংলাপ শুরুর দুই ঘণ্টা পরও কমিশনের পক্ষ থেকে জামায়াতকে অনুরোধ জানানো হয় যোগ দেওয়ার জন্য।
এএএম/এমএএইচ/জিকেএস
Advertisement