জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালসহ চারটি হলের নাম পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের একাংশ।
Advertisement
বুধবার (১৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামের বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এরপর চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি চারটি আবাসিক হলের নামফলক মুছে দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নতুন নামকরণের দাবি জানান তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ মার্চ শেখ রাসেল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বাতিল করে সিন্ডিকেট। সম্প্রতি এসব স্থাপনার নতুন নামকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীজনদের কাছ থেকে নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (একাংশ) উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়।
জোটের একাংশের সভাপতি ফাইজা মেহজাবিন সই করা স্মারকলিপিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবি জনিয়ে বলা হয়, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই আন্দোলন একই মুক্তির বোধ থেকে উৎসারিত। ৭১ ও ২৪ প্রতিদ্বদ্বী নয়, বরং একই মুক্তির বোধের পরিচায়ক। তাই বঙ্গন্ধুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করেছে, তাকে অস্বীকার করে ৭১ ও ২৪-কে প্রতিদ্বন্দ্বি অবস্থানে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা। যা প্রকৃতপক্ষে স্বৈরাচারী ‘রেজিমেরই’ মনোবৃত্তি। এই অপচেষ্টা পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে যাবে।
Advertisement
এতে নাম বাতিল হওয়া আরও তিনটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের দাবি জানান তারা। এগুলো হলো শেখ রাসেল হলের পরিবর্তে লালন শাহ হল অথবা কাঙাল হরিনাথ মজুমদার হল, শেখ হাসিনা হলের পরিবর্তে কাঁকন বিবি হল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরিবর্তে চন্দ্রাবতী হল।
সৈকত ইসলাম/এসআর/এএসএম