পল্লবীর ডিওএইচএস থেকে কালশী পশুর হাটে এসে তিনটি গরু দেখেছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী মিফতাহ উদ্দিন। তবে বিক্রেতাদের দাম শুনে আর ফিরতি দাম বলেননি তিনি। দাম শুনেই চলে গেছেন। তার ভাষ্য গরুপ্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকা দাম বেশি হাঁকানো হচ্ছে। কাছাকাছি হলে কিছু একটা বলা যায়। কিন্তু এত দামে গরু কেনা সম্ভব নয়।
Advertisement
ঈদুল আজহার আর মাত্র একদিন বাকি। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ক্রেতারা কালশী হাটে আসছেন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) পল্লবীর কালশীর পশু হাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
হাটে ছোট থেকে মাঝারি গরুর চাহিদা থাকায় দাম বেশি। বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। বেশিরভাগ বিক্রেতা ৫-৭টা গরু নিয়ে এসেছেন। তাদের ধারণা শেষ সময়ে হয়তো চাহিদা ও দাম আরও বাড়বে। ক্রেতারাও শেষ সময়ের অপেক্ষায়। তারা মনে করেন শুক্রবার পশুর দাম কম হতে পারে।
বিকেলে হাট ঘুরে দেখা গেছে, কালশী পশুর হাটে গরুর সংখ্যা তুলনামূলক কম। বেশিরভাগ খুঁটি ফাঁকা। ক্রেতাদের দরদাম করে খালি হাতে ফিরতে দেখা গেছে।
Advertisement
ক্রেতারা বলছেন, গরু কম; এই সুযোগে দাম বেশি চাইছেন বিক্রেতারা। তাই তারা ছুটছেন অন্য হাটে। আর বিক্রেতারা বলছেন, গরুপ্রতি ২০-৩০ হাজার টাকা কম দাম বলছেন ক্রেতারা।
হাসিল ঘরেও ক্রেতার ভিড় কম দেখা গেছে। ট্রাকে করে হাটটিতে গরু আসছিল কম।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলা থেকে ৫টি মাঝারি আকারের গরু এনেছেন শামসুল হক। আকারভেদে এক একটি গরুর দাম চাইছেন ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তার দাবি গরুগুলোর ওজন হবে ৫ থেকে ৭ মণ।
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আজ সকালে এসেছি। আশানুরূপ দাম এখনো পাইনি। তাই বিক্রি করতে পারছি না। ভালো দাম না পেলে গরু ফেরত নিয়ে যাবো।
Advertisement
দুই বন্ধুকে নিয়ে হাটে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র আলী হাসান। তিনি বলেন, যে দাম বলছে তাতে ফিরতি দাম বলার মতো অবস্থা নেই। মাঝারি গরুর দাম বলছে ১ লাখ ৫০ হাজারের ওপরে। গত বারের চেয়ে ২০-৩০ হাজার টাকা বেশি এবার দাম।
মুসলিম নামের এক ক্রেতা বলেন, গরু অনেক কম। কাছেই গাবতলী, স্ট্যান্ড হাউজিংয়ে গরু আছে। সেখানে যাবো। এখানে আসলাম বাজার যাচাই করতে।
শেরপুর থেকে আসা বিক্রেতা রুহুল আমিন বলেন, ক্রেতারা দাম বেশি বলছে না। ২০-৩০ হাজার টাকা দাম কম বলছে। এ জন্য ৬টা গরুর মধ্যে একটাও বিক্রি করতে পারিনি। একটা লাল দেশি গরু দেখিয়ে তিনি বলেন, গরুটার মাংস হবে ৫-৬ মণ। দাম চাইছি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিক্রেতারা দাম বলছেন ১ লাখ টাকা।
শফিকুল নামের এক বিক্রেতা বলেন, আমি একটা গরু এনেছি। ৩ মণের মতো মাংস হবে, সেটার দাম চাইছি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ক্রেতা ৮০-৮৫ হাজার টাকার বেশি বলছে না।
ময়মনসিংহ থেকে আসা শহিদুল তিনটি গরু এনেছেন। বিক্রি করেছেন দুটি। আরেকটির দাম চাইছেন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ক্রেতারা ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বলছেন। তার দাবি, গরুটিতে ৭ মনের বেশি মাংস হবে।
তিনি বলেন, দুটি গরু ভালো দামেই বিক্রি করেছি। এ হাটে গরু কিছুটা কম। রাতে আরও গরু আসবে, হাট আগামীকাল জমজমাট হয়ে যাবে।
এসএম/এমআইএইচএস/জেআইএম