জাতীয়

এবার জামানত হারানো খুলনার মুশফিকও চান মেয়র হতে

এবার জামানত হারানো খুলনার মুশফিকও চান মেয়র হতে

বৃহস্পতিবার সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ২০২৩ সালের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জামানত হারানো খুলনার শফিকুর রহমান মুশফিক। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামানত হারানো এসএম শফিকুর রহমান (মুশফিক) মেয়র হতে নির্বাচন কমিশনে ধরনা দিচ্ছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পুনঃতদন্তের আবেদন জমা দিয়েছেন।

নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসএম শফিকুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যতটুকু ভোট হয়েছে বা গণনা হয়েছে, এ ভোটে আমিই বিজয়ী হয়েছি, ইনশাআল্লাহ।

আদালতে নিজের পক্ষে রায় পেয়েছেন দাবি করেন তিনি। ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ রয়েছে জানিয়ে এ প্রার্থী বলেন, এ বিষয়ে আমরা সিইসি স্যারের সঙ্গে দেখা করলাম। উনার সঙ্গে কথা বলেছি। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, আইনের যে ব্যাখ্যা আছে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।

Advertisement

২০২৩ সালের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে তালুকদার আব্দুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে ভোট পান ৬০ হাজার ৬৪টি।

অন্য প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে শফিকুল ইসলাম মধু পান ১৮ হাজার ৭৪ ভোট, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীকে এস এম সাব্বির হোসেন পান ছয় হাজার ৯৬ ভোট।

আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এস এম শফিকুর রহমান পেয়েছেন ১৭ হাজার ২১৮ ভোট। এর আগে ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনেও জামানত হারান তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।

Advertisement

কিন্তু নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে জিতে চট্টগ্রামে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী মেয়র পদে দায়িত্ব নিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ইশরাক হোসেনের গেজেটও প্রকাশ করেছে ইসি।

এবার খুলনা সিটি করপোরেশনের দাবি নিয়ে হাজির হন জামানত হারানো শফিকুর রহমান।

সিইসির কাছে আবেদনে এস এম শফিকুর রহমান (মুশফিক) লিখেছেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০২৩ এ স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী এবং প্রতীক ছিল টেবিল ঘড়ি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরই ভোটের দিন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যাপক ভোট জালিয়াতি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ভোটারদের প্রতি হুমকি, হয়রানি এবং প্রশাসনিক সীমাহীন অত্যাচার নিপীড়নের কারণে অধিকাংশ ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারে নাই এবং ভোট দিতে পারেনি। আমি বহুবার অভিযোগ করেছি। যার কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ সে সময় রিটার্নিং অফিসার (খুলনা) নেয়নি।

সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন ভবনে শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার চলে যাওয়ার পরে আমি তিনটা দরখাস্ত করি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে, নির্বাচন সচিব ও এলজিআরডি সচিবের কাছে। তাতে বলি, ২০২৩ সালে যে ভোট হয়েছে সেটাও গুনলে আমি জয়ী হবো।ৎ

কোনো সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি রিট করি। মহামান্য আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন এবং এ তিনটা অ্যাপ্লিকেশনের এগেইনেস্টে লিখে দিয়েছেন যে, অবশ্যই এটাকে ৩০ দিনের মধ্যে ডিসপোজাল করে দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে আমরা সিইসি স্যারের সঙ্গে দেখা করলাম। উনার সাথে কথা বলেছি। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, আইনের যে ব্যাখ্যা আছে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।

একসময় বিএনপির রাজনীতি করলেও এখন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নন বলে জানান শফিকুর রহমান।

এসময় এস এম শফিকুর রহমানের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি এর আগে বিএনপিতে ছিলাম। এখন পলিটিকস করি না।

তিনি আরও বলেন, আমি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলাম। ২০০৮ সালে বাগেরহাট-১ থেকে এমপি ইলেকশন করেছি। আগে বিএনপিতে ছিলাম। এখন পলিটিকস করি না।

এমওএস/এমএইচআর/জেআইএম