নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চৌড়াপাড়া মোড় এলাকার মো. আব্দুল করিম ফকিরের ছেলে মো. আজিজুল ফকির (৩৫)। তিনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে উৎসাহী হয়ে কচু-লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি এই সবজি চাষের উদ্যোগ নেন। গত দুই বছর ধরে সফলতার মুখ দেখছেন।
Advertisement
জানা যায়, বসতবাড়ির পাশের একটি জমিতে এ বছরও কচু-লতি চাষ করেছেন। ফসলের যত্নে নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখেন। ফসল রোপণ থেকে উত্তোলন ও দেখভালে একাই নিয়োজিত তিনি। ফলন ভালো হতে টিএসপি, ইউরিয়া ও জৈব স্যার ব্যবহার করেছেন।
কৃষক আজিজুল ফকির জানান, এ বছর তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে কচু-লতি চাষ করেছেন। রোপণ থেকে শুরু করে মোট ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার টাকার সবজি বাজারে বিক্রি করেছেন। আরও অন্তত ৪০-৫০ হাজার টাকার কচু-লতি জমিতে আছে। গত বছর প্রথম অবস্থায় তেমন লাভ না হলেও এ বছর সফলতা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন
Advertisement
তিনি জানান, অন্য কৃষিপণ্য চাষ করে তেমন লাভবান না হলেও ২ বছর ধরে এ সবজি চাষ করে বেশি মুনাফার মুখ দেখেছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ফসলি জমির পরিমাণ কম আছে। প্রতি বছর ৬-৭ মাস এই সবজির মৌসুম। জানুয়ারি মাসে বীজ ফালানো হলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে তুলে বাজারে বিক্রি করা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ তোলেন আজিজুল ফকির। তিনি বলেন, ‘আমাকে এখন পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে কোনো সাহায্য করা হয়নি। পাশাপাশি আমাদের যেসব পরামর্শ দেওয়া উচিত, তা-ও পাইনি। কৃষি কর্মকর্তারা এগিয়ে এলে আগ্রহের সাথে আরও বেশি চাষাবাদ করা সম্ভব।’
সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতিটি এরিয়ায় একজন করে লোক থাকেন। যার কাজই হচ্ছে ঘুরে ঘুরে কৃষকদের খোঁজ নেওয়া। অনেক সময় হয়তো দু’একটায় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় না। সেই অর্থে মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কৃষক কচু-লতি করছেন তার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। তাহলে অবশ্যই আমরা সহযোগিতা করবো। এটাই আমাদের দায়িত্ব। আমি খোঁজ নেবো।’
মো. আকাশ/এসইউ/এমএস
Advertisement