পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, জুলাই আন্দোলন কেবল একটি রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না। বরং এটি ছিল ন্যায় ও মানবাধিকারের পক্ষে সার্বজনীন গণআন্দোলন। এই ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি দর্পণ হিসেবে কাজ করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
Advertisement
জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি ও গ্রাফিতি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ৩টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কূটনৈতিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন, তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
তিনি জানান, এই প্রদর্শনী কেবল একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন নয়, বরং ইতিহাসকে ধারণ, সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা চাই না বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, জুলাই আন্দোলন জাতীয় স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাক। আমরা চাই না সেই ত্যাগ, সেই সাহস এবং সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর গল্প ভুলে যাক আমাদের আগামী প্রজন্ম। এই আয়োজন মানুষকে দেখাবে, ভাবাবে, প্রশ্ন করতে শেখাবে এবং মনে রাখতে সহায়তা করবে। আমরা অতীতকে মনে রাখতে চাই গর্ব নিয়ে। এই গর্ব শুধু স্মরণে নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়িত্ববোধে প্রতিফলিত হোক, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা। জুলাই পুনর্জাগরণ আমাদের সবসময় জাগ্রত রাখুক।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই আন্দোলন সময়ের ব্যবধানে একটি সার্বজনীন গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছিল, যেখানে ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন। সাম্য, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেশের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে।
জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে আয়োজিত মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীতে জুলাই আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র এবং গ্রাফিতি প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিদিন দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীটি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেখতে পারবেন।
জেপিআই/এএমএ
Advertisement