সামর্থ্য থাকলে জীবনে একবার হজ করা পুরুষদের মতো নারীদের ওপরও ফরজ। হজের মৌসুমে হজে যাওয়া-আসার খরচসহ সফরে থাকাকালীন দিনগুলোতে তার ও পরিবারের লোকদের স্বাভাবিক খরচের ব্যবস্থা থাকলে, দৈহিকভাবে হজ করার সক্ষমতা থাকলে এবং হজের সফরে সাথে যাওয়ার মতো মাহরাম ব্যক্তি থাকলে নারীদের হজের সামর্থ্য প্রমাণিত হয় ও হজ ফরজ হয়।
Advertisement
মাহরাম না থাকলে সম্পদশালী নারীর জন্য নিজে গিয়ে হজ করার আবশ্যকতা থাকে না। কোনো নারীর কাছে যদি শুধু নিজের হজে যাওয়ার মতো সম্পদ থাকে, কোনো মাহরামকে নিয়ে যাওয়ার মতো সম্পদ বা সুযোগ না থাকে, তাহলে তার ওপরও হজ ফরজ নয়।
কিন্তু এরপরও কোনো নারী যদি মাহরাম ছাড়া হজে যায়, তাহলে তার হজ শুদ্ধ হবে এবং ফরজ হজ আদায় হয়ে যাবে।
হজ ও ওমরাহর ইহরামে নারীদের জন্য সাদা বোরকা পরিধান করা জরুরি নয়। বরং তারা স্বাভাবিক সময়ের মতো কালো বা অন্য যে কোনো রঙের বোরকা পরিধান করতে পারেন। তবে অন্য সময়ের মত ইহরাম অবস্থায়ও বোরকার রঙ বা ধরন এমন হওয়া উচিত নয় যা আলাদা আকর্ষণ তৈরি করে।
Advertisement
হজের সময় নারীরা হাতে ও পায়ে মোজা পরিধান করতে পারবেন?
হজ ও ওমরাহর সময় নারীরা হাতে ও পায়ে মোজা পরিধান করতে পারবেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ইহরাম অবস্থায় নারীরা হাতমোজা ও পাজামা পরিধান করতে পারবেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ: ১৪৪৪০)
সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি তার মেয়েদেরকে ইহরাম অবস্থায় হাতমোজা পরার নির্দেশ দিতেন। (কিতাবুল উম্ম: ২/২২৩)
ইহরাম অবস্থায় নারীরা স্বর্ণালঙ্কার পরিধান করতে পারবেন?
Advertisement
হজ ও ওমরাহর ইহরাম বাধার পরও নারীদের জন্য স্বর্ণালঙ্কার ব্যবহার করা নিষিদ্ধ নয়, জায়েজ। প্রখ্যাত তাবেঈ নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের (রা.) স্ত্রী ও মেয়েরা ইহরাম অবস্থায় সোনা-রুপার অলঙ্কার ব্যবহার করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১৪৪১৪)
ওএফএফ/এএসএম