বিনোদন

হিরো আলমের তিন বিয়ে, কেন টিকছে না সংসার

হিরো আলমের তিন বিয়ে, কেন টিকছে না সংসার

বগুড়ার ক্যাবল ব্যবসায়ী থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তারপর রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা! খবরের শিরোনাম হয়েছেন বহুবার, দেশে, বিদেশে। কটাক্ষ, আলোচনা, সমালোচনা কম হয়নি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে। সর্বশেষ আলোচনায় এলেন তৃতীয় স্ত্রীকে তালাকের ঘোষণা দিয়ে। আগেও দুজন স্ত্রীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন আলম, কিন্তু কেন। কেন টিকছে না তার সংসার?

Advertisement

এক সময়ের জনপ্রিয় লেখিকা খোদ তসলিমা নাসরিনও আলমের তালাককাণ্ড নিয়ে লিখেছেন ফেসবুকে। স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর! সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কেন সংসার টিকছে না।

আক্ষেপ করে আলম জানান, তার সাবেক দুই স্ত্রী নিজ ইচ্ছায় তাকে ছেড়ে গেছেন। তিনি ডিভোর্স দেননি। কিন্তু তৃতীয় স্ত্রীকে তিনি ডিভোর্স দেবেন, সে রকমই ঘোষণা দিয়েছেন আলম। কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেন, হাসপাতালে তার বাবার মৃত্যুশয্যায় পাশে ছিলেন না স্ত্রী রিয়ামনি।

আলমের প্রথম স্ত্রীর নাম সুমি। সেই সংসারে তাদের তিন সন্তান, এক ছেলে ও দুই মেয়ে। সাংবাদিকদের আলম বলেন, ‘প্রথম পক্ষের সঙ্গে ২০১৬ সালে গন্ডগোল হয়। সে কারণে আমার স্ত্রী মামলা করে। সেই মামলায় ৪১ দিন জেলেও থাকতে হয়েছে আমাকে। সবাই বললো, তারপরও সংসার করো, আমিও তাই করলাম। তারপর আমার আম্মার সঙ্গে গন্ডগোল হলো। আমি তখন ঢাকায়। মায়ের সঙ্গে ক্যাচাল করে বাসা থেকে বের হয়ে যায় সে। যাওয়ার পর বলছে বাড়ি আলাদা না করা পর্যন্ত আমি তোমার কাছে যাবো না, সংসার করবো না। বাবা-মা বলে পাশের জায়গায় বাড়ি তৈরি করো। বাড়ি তৈরি করতে দুই বছর লাগে। এর মধ্যে প্রেম করে আরেক জনকে বিয়ে করে।’

Advertisement

কিছুদিন পর নুসরাতের সঙ্গে পরিচয়। তারও কিছুদিন পর বিয়ে। হিরো আলম বলেন, ‘বিয়ের কিছুদিন পর বাসা থেকে রাগ করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বের হয়ে যায়। তার কিছুদিন পর দেখি অন্য ছেলের সঙ্গে মিউজিক ভিডিওতে! সার্কাসে নাচে। আমি ওই ছেলেকে ভয় দেখিয়েছি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নুসরাত আমাকে ডির্ভোস দিয়েছে।’

রিয়ামনির সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়। হিরো আলম বলেন, ‘আমার তো কাজ-কাম করতে হবে। রিয়ামনির সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। খবর নিলাম, সে বার ড্যান্সার। সে আমার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচে। ভালো লাগে। তারপর রিয়ামনির সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমার বাবা হাসপাতালে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে নাচ করে যাচ্ছিল সে। আমার বাবার কাছে আসলো না। বাবা মারা গেছে জেনেও আমাকে ফোন দিলো না। এখন আমাকে নানান রকম দোষ দিচ্ছে। সেগুলো যদি একটারও প্রমাণ দিতে পারে, আমি হিরো আলম নাকে খৎ দেবো। ঢাকা শহরে জুতার মালা পরে ঘুরবো। দেশে থাকবো না। বিদেশে চলে যাবো। আমার বউ অন্য কারও সঙ্গে কেন কাজ করবে! আমার এই জায়গায় কাজের কোনো অভাব নাই। সে কেন অন্য কারও সঙ্গে কাজ করবে? কাজির সঙ্গে কথা হয়েছে। আজ বিকালে অথবা কালকের মধ্যে ডির্ভোস দিয়ে দেবো।’

বাবার মৃত্যুশয্যায় স্ত্রীকে না পেয়ে ফেসবুকেই তাকে বয়কটের ঘোষণা দেন হিরো আলম। তার বাবা আবদুর রাজ্জাক শৈশবে পালক সন্তান হিসেবে বড় করেন আলমকে। তাই এই বাবার প্রতি আলমের ভালোবাসা ছিল অন্য রকম। বয়কট, তালাক এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাগো নিউজকে রিয়ামনি বলেন, ‘বাবা মারা গেছে, এ কারণে আলম মানসিকভাবে ভালো নেই। সত্যি বলতে, এসব বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।’

আরও পড়ুন: ঢাকায় ফিরেই স্ত্রীকে ডিভোর্স দেবেন হিরো আলম হিরো আলম মানসিকভাবে ঠিক নেই, দাবি রিয়ামনির ‘বাবা’র পাশে না থাকায় স্ত্রী রিয়ামনিকে বয়কটের ঘোষণা হিরো আলমের

এমআই/আরএমডি/এএসএম

Advertisement