দেশে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ হারে বাজেট বাড়লেও কৃষিবাজেট বাড়ছে ৩ শতাংশ হারে। মোট বাজেটে কৃষির হিস্যা আরও বাড়াতে হবে। মোট বাজেটের মধ্যে ১০ শতাংশ হারে কৃষি ও ৫ শতাংশ হারে এ খাতে ভর্তুকি দিতে হবে।
Advertisement
শনিবার (৩ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ‘কৃষিতে বাজেট ২০২৫-২৬ টেকসই প্রবৃদ্ধির রূপরেখা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা। সেমিনারটি আয়োজন করে কৃষি অর্থনীতি সমিতি।
সমিতির সভাপতি আহসানুজ্জামান লিন্টুর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশে প্রতিবছর ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রাকৃতিক জলাশয় দখল ও দূষণে হারাচ্ছে। অথচ ভিয়েতনাম ও চীনে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এসব সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তাই দেশের জলাশয়কে রিজার্ভ হিসেবে চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করতে হবে।
Advertisement
বক্তারা ব্লু ইকোনমি সম্পর্কে বলেন, বঙ্গোপসাগরে বছরে ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন মাছ পাওয়া যায়। এটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ মাত্র শূন্য দশমিক ৭ মিলিয়ন টন আহরণ করা হয়।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কৃষিতে গবেষণা বাড়ছে। এখাতে অভূত উন্নতি হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতার মূল চালিকাশক্তি গার্মেন্টস, রেমিট্যান্স ও কৃষি অর্থনীতি।
ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষিবাজেট যারা প্রণয়ন করেন তারা কৃষির সার্বিক মূল্যায়ন করে বাজেট বাড়ান না। খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমরা চিন্তিত। এর মূলে রয়েছে কৃষির উৎপাদন কমে যাওয়া। মূল্যস্ফীতি কমাতে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষিখাতে পণ্যের মূল্য সহায়তা করা হচ্ছে না। সবজির দাম না পেয়ে কৃষক গরুকে খাওয়াচ্ছে। এ খাতে প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানিতে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে।
Advertisement
এনএইচ/এমএএইচ/জেআইএম