ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন কাতারের প্রধান মধ্যস্থতাকারী মোহাম্মদ আল-খুলাইফি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
Advertisement
আল-খুলাইফি বলেন, গত এক মাস ধরে ইসরায়েল পুনরায় গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করার পর আলোচনা থেমে গেছে, কোনো সমঝোতা হয়নি। আলোচনার গতি নিয়ে আমরা স্পষ্টভাবে হতাশ। এটি অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয় কারণ প্রতিদিন মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমরা অবিরাম চেষ্টা করছি দুই পক্ষকে আবার আলোচনায় বসাতে ও সেই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে, যা পূর্বে দুই পক্ষই সমর্থন করেছিল। কিন্তু আমরা সফল হয়নি। এরপরও সব ধরনের বাধা পেরিয়ে আমরা এই প্রক্রিয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।
গাজা সংকট নিরসনে মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশপাশি কাতারের মধ্যস্থতামূলক ভূমিকা চলমান থাকলেও, দেশটি ইসরায়েল এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরাসরি সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এক ফৌজদারি তদন্তে দুইজন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কাতার থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্, অভিযুক্তরা কাতারের স্বার্থে কাজ করেছেন। তবে দোহা এই অভিযোগকে ‘মানহানিকর প্রচারণা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
Advertisement
চলতি মার্চ মাসে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা দাবি করে, কাতার থেকে আসা অর্থের মাধ্যমে হামাস সামরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, যা ৭ অক্টোবরের হামলার পূর্ব প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়েছে। এই অভিযোগকেও মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে কাতার।
আল-খুলাইফি বলেন, আমরা আমাদের মধ্যস্থতার শুরু থেকেই এ ধরনের সমালোচনা ও নেতিবাচক মন্তব্য শুনে আসছি। নেতানিয়াহুর মতো নেতাদের পক্ষ থেকে যেসব সমালোচনা আসছে, সেগুলো প্রেক্ষাপটবিহীন। এগুলো অনেক সময় শুধুই ‘ফাঁকা আওয়াজ’।
সূত্র: এএফপি
এসএএইচ
Advertisement