পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েকটি রাজ্যকে বুধবার (৭ মে) নিরাপত্তা মহড়া চালাতে বলেছে। সূত্রের বারত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
এমন এক সময় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই আদেশ দিলো যখন পহেলগামের ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাছাড়া এ ধরনের মহড়া ভারত সবশেষ চালিয়ে ছিল ১৯৭১ সালে। যখন দেশ দুইটি একই সময়ে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করেছে।
এদিকে সোমবার (৫ মে) পাকিস্তান ফের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। ফাতাহ সিরিজের এই ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য। যার রেঞ্জ ১২০ কিলোমিটার। সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবেই ক্ষেপণাস্ত্রের এই পরীক্ষা চালানো হয়।
পহেলগামের ঘটনার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চলালো পাকিস্তান। এর আগে সিন্ধু চুক্তি বাতিলসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।
Advertisement
পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের পর দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। মিলছে পাল্টাপাল্টি হামলার আভাস।
এর আগে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ৪৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি।
সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুটি দেশই সীমিত পরিসরে সামরিক হামলার আভাস দিচ্ছে। এতে ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থার মধ্যে এশিয়ায়ও একই পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে কোনোমতেই আরেকটি যুদ্ধ চাইছে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয় পর্যটক ছিলেন। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
Advertisement
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম